এবার আসতে পারে ওয়ানডে ক্রিকেটের নতুন টুর্নামেন্ট, আপত্তি ভারতের
ওয়ানডেতে ছয় দল নিয়ে নতুন একটি টুর্নামেন্ট করতে পারে আইসিসি। ২০২৩ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসির সাইকেলে প্রতি বছরই একটি করে বৈশ্বিক ইভেন্ট আয়োজন করতে চায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। অবশ্য এ ব্যাপারে নিজেদের আপত্তির কথা আইসিসিকে জানিয়েছে, বলছে ইএসপিএনক্রিকইনফো।
এই আট বছরের সাইকেলে দুটি বিশ্বকাপ, চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও নতুন এই টুর্নামেন্টের দুটি আসর হবে। কিছুটা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আদলে হতে পারে নতুন এই টুর্নামেন্ট, তবে দলের সংখ্যা নেমে আসতে পারে আট থেকে ছয়ে। ২০১৭ সালের পর ২০২১ সালে ভারতে আবার হওয়ার কথা ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, তবে প্রতিটি ফরম্যাটে একটি করে শীর্ষস্থানীয় টুর্নামেন্ট রাখতে আইসিসি বাদ দিয়েছে সেটি। এর বদলে ২০২১ সালে ভারতেই হবে একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
অবশ্য এরই মাঝে আইসিসিকে নতুন এই সাইকেলের ব্যাপারে নিজেদের আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিসিসিআই। আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সাওনিকে দেওয়া এক ই-মেইলে বিসিসিসাইয়ের প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরি জানিয়েছেন, “এই পর্যায়ে আমরা আপনাকে জানাতে চাই যে, ২০২৩-পরবর্তী আইসিসি ইভেন্ট ক্যালেন্ডারের সঙ্গে বিসিসিআই একমত বা এটি নিশ্চিত করতে পারবে না। বিসিসিআই দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেটে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, বর্তমান এফটিপির মতো করে চালিয়ে যেতে চায়। অন্যান্য পূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে চায়।”
প্রতি বছর বৈশ্বিক ইভেন্ট আয়োজনের মধ্য আইসিসি ফিরে যাচ্ছে বিগ-থ্রি-এর পূর্ব পর্যায়ে। ১৯৯৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২০০১ সাল ছাড়া প্রতি বছরই ছিল এমন টুর্নামেন্ট। ২০০৮ সালে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার কথা ছিল, শেষ পর্যন্ত সেটি বাতিল করে পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়েছিল। আইসিসির দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর জানিয়েছেন, “অনেক কিছু যাচাই করে বোর্ডের উপলব্ধি হয়েছে, প্রতি বছর ছেলে ও মেয়েদের মেজর টুর্নামেন্ট আমাদের ক্যালেন্ডারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে, আমাদের খেলার ভবিষ্যতের দৃঢ় ভিত গড়ে দেবে।”
এদিকে বিসিসিআইয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি বলেছেন, লভ্যাংশের ক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের “ব্যাপারটি নতুন করে দেখবেন তিনি, আর ভারতের ‘প্রাপ্য’টি পাওয়া উচিৎ।” বর্তমানে আইসিসির প্রায় ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ আসে ভারত থেকে।