• ইউরো বাছাইপর্ব
  • " />

     

    রাশিয়া-কসোভো ম্যাচে ইউয়েফার নিষেধাজ্ঞা

    রাশিয়া-কসোভো ম্যাচে ইউয়েফার নিষেধাজ্ঞা    

    রাশিয়া-কসোভো দ্বন্দ্বটা ১১ বছরের পুরনো। দুই দেশের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে খেলার মাঠেও। দুই দেশের মাঝে চলতে থাকা এই টানাপোড়নের কারণে এবার কঠিন একটি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে ইউয়েফা। ইউয়েফা জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হবে না রাশিয়া-কসোভো। 

    ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা পায় কসোভো। তাদের এই স্বাধীনতা মানতে নারাজ রাশিয়া এখন পর্যন্ত দেশটিকে স্বীকৃত দেয়নি। এই মাসের ৪ অক্টোবর নারী ইউরো ২০২১ এর বাছাইপর্বের ম্যাচে কসোভোর প্রিস্টিনাতে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল দুই দেশের। নিরাপত্তা ইস্যুতে কসোভোতে খেলতে অস্বীকৃতি জানায় রাশিয়া। রাশিয়ার বিশেষ অনুরোধে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। ২০২০ সালের ৯ জুন নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই হওয়ার কথা রয়েছে ম্যাচটি। 

    ২০২০ ইউরো খেলার খুব কাছে চলে এসেছে কসোভো 

     

    গতকাল ইউয়েফার নীতিনির্ধারক কমিটির এক বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে ইউরোপিয়ান কোনো টুর্নামেন্টেই একে অন্যের বিপক্ষে খেলবে না রাশিয়া-কসোভো। এক অফিশিয়াল বিবৃতিতে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে, ‘ইউয়েফার বিশেষ কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত রাশিয়া-কসোভো ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে একে অন্যের বিপক্ষে খেলবে না।’ 

    ইউয়েফার এই সিদ্ধান্ত অবশ্য কিছুটা ঝামেলায় ফেলতে পারে ২০২০ ইউরো আয়োজকদের। এরই মাঝে টুর্নামেন্টের মূল পর্বে পৌঁছে গেছে রাশিয়া। 'এ' গ্রুপে ইংল্যান্ড, চেক রিপাবলিকের সাথে সমানে সমান লড়াই করে কোয়ালিফাই করার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে কসোভো। কসোভো যদি মূল পর্বে পৌঁছে যায় ও রাশিয়ার সাথে খেলা পড়ে, তাহলে ইউয়েফার নতুন সিদ্ধান্ত কীভাবে প্রয়োগ করবে কর্তৃপক্ষ, সেটা নিয়েই প্রশ্ন জেগেছে।  

    ২০১৪ সালের পর এরকম নিরাপত্তা ইস্যুতেই ইউয়েফার টুর্নামেন্টের ড্রয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের ক্লাবগুলোকে একসাথে রাখা হয় না।