• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    হকির অভিজ্ঞতাই যখন সিঙ্গাপুরের ব্যাটসম্যানের সাফল্যের রহস্য

    হকির অভিজ্ঞতাই যখন সিঙ্গাপুরের ব্যাটসম্যানের সাফল্যের রহস্য    

    একটা সময় নিয়মিত হকি খেলতেন সিঙ্গাপুরের ব্যাটসম্যান নাভিন পারাম। হকি ছেড়ে ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করেছিলেন বেশ কয়েক বছর আগে। তাঁর ৭২ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে বারমুডাকে হারিয়েছে সিঙ্গাপুর। ম্যাচ শেষে পারাম বলছেন, হকি খেলার সময় শেখা স্কিলগুলোই বৈচিত্র্যময় শট খেলতে সাহায্য করেছে তাকে। 

    ২৪ বছর বয়সী পারামের জাতীয় দলের অভিষেক হয়েছে গত মাসেই। দুবাইয়ে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে বারমুডার কাছে সিঙ্গাপুরের হারটা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। সেই অবস্থা থেকে দলকে একাই জিতিতে মাঠ ছেড়েছেন পারাম। ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংসটি খেলার পথে মেরেছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো চোখ ধাঁধানো কিছু ‘৩৬০ ডিগ্রি শট’। সুইপ, রিভার্স সুইপ, স্কুপ মেরে স্কয়ার ও বিহাইন্ড দ্যা স্কয়ারেই বেশি রান তুলেছেন তিনি। পারামের সাতটি চার ও চারটি ছয়ের বেশিরভাগই ছিল এই অঞ্চলে। ক্রিকেটীয় শটের চেয়ে সেগুলোকে হকির শটই বেশি মনে হয়েছে! 

    পারাম যখন বনে গেলেন ডি ভিলিয়ার্স

     

    পারাম নিজেই জানালেন, হকি খেলার অভিজ্ঞতাই তাকে এরকম শট বেশি খেলতে উৎসাহ যোগায়, ‘ক্রিকেটের আগে আমি হকি খেলতাম। এটা আসলে সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ হকি খেলার জন্য আমার হাতের কবজি বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ঐ স্কিলগুলোই আমি ক্রিকেটে কাজে লাগাচ্ছি। এজন্যই আমার শটগুলো অন্য দশজন ব্যাটসম্যানের মতো মনে হয় না।’

    কোচ ও মেন্টরদের সাথে গতানুগতিক ধারার বাইরের শট নিয়ে নিয়মিতই কাজ করে যাচ্ছেন পারাম, ‘কয়েক বছর ধরেই আমি কোচ, মেন্টরদের সাথে ৩৬০ ডিগ্রির শট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বারমুডার বিপক্ষে এইগুলো কাজে লেগেছে ভালোভাবেই। যখন আমি ব্যাটিং করি, তখন চেষ্টা থাকে ফিল্ডারদের মাঝে দিয়েই বল পাঠানো।’ 

    বারমুডার বিপক্ষে সেই ম্যাচের পর দলে রীতিমত তারকা বনে গেছেন পারাম। নিজের দায়িত্বটা পালন করতে চান দলে নতুন আসা এই তরুণ, ‘দলে সবার দায়িত্বই ভাগ করা আছে। আমি যদি নিজের দায়িত্বটা পালন করতে পারি, দলই ভালো ফল করবে। বোলাররাও আমাদের মতো চাপে থাকে। মাঝে মাঝে অন্যরকম শটে বাউন্ডারি মেরে তাদের সেই চাপটা আরও বাড়িয়ে দেওয়া যায়।’