• ইংলিশ লিগ কাপ
  • " />

     

    এক দিনের মধ্যে দুইটি ম্যাচ খেলতে হতে পারে লিভারপুলকে!

    এক দিনের মধ্যে দুইটি ম্যাচ খেলতে হতে পারে লিভারপুলকে!    

    কারাবাও কাপের চতুর্থ রাউন্ডে আর্সেনালকে হারানোর পরে লিভারপুল কোচ ইউর্গেন ক্লপ জানিয়েছিলেন, তাদের সুবিধামতো কোয়ার্টার ফাইনালের সূচি না ফেললে ম্যাচ বয়কট করবে লিভারপুল। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি ম্যাচ খেলা সম্ভব না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার লিভারপুলকে করতে হবে তেমন কিছুই। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই লিভারপুলকে মাঠে নামতে হবে দুইবার।

    ১৭ ডিসেম্বর রাতে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে কারাবাও কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের সূচি পড়েছে লিভারপুলের। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মাঝে কাতারে তাদের খেলতে হবে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালও। ইংলিশ ফুটবল লিগ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লিভারপুলের সাথে কথা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। কিন্তু কীভাবে এতো অল্প সময়ের মাঝে ইংল্যান্ডে ম্যাচ খেলে কাতারে যাবেন ক্লপরা? 


    আরও পড়ুনঃ কারাবাও কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল বয়কট করবে লিভারপুল?


    এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে লিভারপুল জানিয়েছে, দুই ম্যাচের জন্য আলাদা দুটি স্কোয়াড প্রস্তুত রাখা হবে, ‘আমরা ইএফএলকে ধন্যবাদ দিতে চাই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে সূচি নির্ধারিত হয়েছে, সেটা আমাদের একদমই সাহায্য করবে না। এজন্যই আমরা দুটি স্কোয়াড প্রস্তুত রাখবো। একটা দল কাতারে যাবে, আরেকটা কারাবাও কাপে খেলবে। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে যে, এমন পরিস্থিতি একদমই কাম্য না। তবে টুর্নামেন্ট ও অন্য ক্লাবদের জন্যই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ 

    এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে লিভারপুল আগেও দুটি ম্যাচ খেলেছে। সেটা অবশ্য হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। সেবার লিগের ম্যাচে ২৬ ডিসেম্বর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। ঠিক পরের দিনই শেফিল্ড ওয়েডনেসডের সাথে ১-০ গোলের জয় পেয়েছিল লিভারপুল। 

    দুটি আলদা স্কোয়াডের ব্যাপারে নিজের আপত্তির কথা আগেও জানিয়েছিলেন ক্লপ। তবে চূড়ান্ত সূচিতে খুশি হতে না পারলেও দুই টুর্নামেন্টের সম্মান রাখতেই মাঠে নামতে প্রস্তুত তিনি। গেঙ্কের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লগিয়ের ম্যাচের পর ক্লপ জানিয়েছেন, দুই ম্যাচেই অংশ নেবে লিভারপুল, ‘আমাদের আসলে এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। প্রতি বছরই এরকম কিছু না কিছু হয়। পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিন ম্যাচ, এটা কীভাবে হবে সেটার অপেক্ষায় আছি। আমরা লিগ কর্তৃপক্ষ কিংবা ফিফার সাথে ঝামেলায় জড়াতে চাই না। দুই টুর্নামেন্টকেই সম্মান করি। অনেকেই ভাবছেন আমরা কারাবাও কাপে খেলতে চাই না। কিন্তু এটা ঠিক না।’  

    কোয়ার্টার ফাইনাল বয়কটের হুমকি দিলেও ক্লপ এখন বলছেন, কোনো টুর্নামেন্ট থেকেই সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা নেই তার, ‘আমি কোনো টুর্নামেন্ট বাতিল চাই না। আমি জার্মানি থেকে এসেছি। কেনো ইংল্যান্ডের কোনো টুর্নামেন্ট বাতিল চাইবো? এভাবে আসলে চলা কঠিন। আমাদের এক টেবিলে বসে আলোচনা করে সমাধান বের করতে হবে।’

    ক্লপ খানিকটা মজা করেই বলেছেন, সম্ভব হলে অ্যাস্টন ভিলাকে কাতারে এসে খেলার প্রস্তাব দেবেন তিনি, ‘আমরা ভিলাকে প্রস্তাব দিতে পারি। তারা যদি কাতারে আসতে পারে তাহলে এখানেই নাহয় খেললাম কোয়ার্টার ফাইনাল!’

    এই বছরের এপ্রিলে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ম্যাচ খেলে হইচই ফেলে দিয়েছিল ভেনিজুয়েলার ক্লাব দেপোর্তিভো লারা। দুই ম্যাচেই তারা জিতেছিল। একই দিনে আরেক ভেনিজুয়েলার ক্লাব জামোরা দুটি ম্যাচ খেলেছিল কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে। দুই ম্যাচের ভেন্যুর মাঝে দূরত্ব ছিল প্রায় ৪ হাজার মাইল। তারা অবশ্য নিজেদের দুটি ম্যাচেই হেরেছিল। 

    ২০০১ সালের নভেম্বরে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পরপর দুইদিনে দুটি ম্যাচ খেলেছিল। ১৯৮৭ সালে মার্ক হিউজ ওয়েলস ও বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে একই দিনে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন। ম্যাচ শেষে এই স্ট্রাইকার জানিয়েছিলেন, সময়স্বল্পতার কারণে বিমানেই তিনি জার্সি বদল করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি!