• ইউরো বাছাইপর্ব
  • " />

     

    স্পেনের কোচের দায়িত্বে ফিরলেন এনরিকে

    স্পেনের কোচের দায়িত্বে ফিরলেন এনরিকে    

    ঘোষণাটা প্রত্যাশিতই ছিল। বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে সেটি দিলেন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট লুইস রুবিয়ালেস। সরে দাঁড়ানোর পাঁচ মাস পর স্পেনের কোচ হয়ে ফিরছেন লুইস এনরিকে। 

    রাশিয়া বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর  স্পেন জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাবেক বার্সেলোনা ম্যানেজার লুইস এনরিকে। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মাথায়ই দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছিল তাকে, আসলে ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। মেয়ের মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন ফুটবল থেকে দূরে ছিলেন। শোক কাটিয়ে আবার ফিরছেন ডাগআউটে।

    এনরিকের বদলে আগামী গ্রীষ্মে ইউরো পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রোমা, সেল্টা ভিগো, বার্সেলোনার মতো  জাতীয় দলেও তারই সহকারী রবার্তো মরেনোকে। সেপ্টেম্বরে মরেনো বলেছিলেন, এনরিকে ফিরতে চাইলে সরে দাঁড়াবেন তিনি। কিন্তু সবসময়ই ফেডারেশন থেকে এ ব্যাপারে সততা এবং স্বচ্ছতা চাইতেন মরেনো। সেটা হয়তো পাননি তিনি। মাল্টার বিপক্ষে গত সপ্তাহে ম্যাচের পর রুবিয়ালেস বলেছিলেন, ইউরো ২০২০-এ মরেনোই স্পেনের কোচ থাকছেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন তিনি।

    বন্ধু এনরিকের জন্য তাই  দায়িত্ব ছাড়া নয়, বোর্ডের এই 'লুকোচুরি'-তেই হয়তো হতাশ মরেনো। রোমানিয়াকে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ৫-০ গোলে হারানোর পর অশ্রুসজল নয়নে স্প্যানিশ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে সরাসরি ড্রেসিংরুমে চলে যান মরেনো। সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি তিনি বা স্পেনের কোনো ফুটবলার। এনরিকের ফেরার খবরটি হয়তো আগে থেকেই জানতেন তিনি। এনরিকের অনুপস্থিতিতে মরেনোর অধীনে স্পেনের রেকর্ডটাও দুর্দান্ত। ৯ ম্যাচে রামোসরা হারেননি একবারও (৭ জয়, ২ ড্র)। গোল করেছেন ২৯টি, হজম করেছেন মাত্র ৪টি।

    গত বছরের ৯ জুলাই দায়িত্ব পাওয়ার পর ইউয়েফা নেশনস লিগের গ্রুপপর্বে ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় দিয়ে অভিষেক হয়েছিল এনরিকের। পারিবারিক সমস্যার জন্যই ২০২০ ইউরো বাছাইপর্বে মাল্টা, ফারো আইল্যান্ড এবং সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন হেডকোচ হওয়ার আগে  ডাগআউটে এনরিকের অনুপস্থিতিতে এই তিন ম্যাচে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মোরেনো।