• ইউরো বাছাইপর্ব
  • " />

     

    গোল উদযাপনে বর্ণবাদকে 'না' বললেন ওয়াইনাল্ডাম-ডি ইয়ং

    গোল উদযাপনে বর্ণবাদকে 'না' বললেন ওয়াইনাল্ডাম-ডি ইয়ং    

    ম্যাচের আগে এরকম একটা কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন নেদারল্যান্ডস মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো ওয়াইনল্ডাম। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ইউরো ২০২০ বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে গোল উদযাপন দিয়ে জানিয়ে দিলেন সাদা-কালো সবই এক, গায়ের রঙয়ে ভেদাভেদ নেই।

    এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ছয় মিনিটেই গোল পেয়ে গিয়েছিলেন ওয়াইনাল্ডাম। এর পর টাচলাইনের বাইরে গিয়ে সতীর্থ ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের সঙ্গে কনুই মিলিয়ে করেছেন গোলের উদযাপন। ওয়াইনাল্ডার যেটা বোঝাতে চেয়েছেন সেটা বুঝে নেওয়া গেছে পুরোপুরি। দুইজনের হাতের রঙে পার্থক্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, এর পর বোঝাতে চেয়েছেন সবাই এক।
     


    এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলে জিতেছে নেদারল্যান্ডস। ইউরোর মূল পর্ব আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ভার্জিল ভ্যান ডাইকের জায়গায় অধিনায়কের ভূমিকায় ছিলেন লিভারপুলের ওয়াইনাল্ডাম। ম্যাচটা দারুণ গেছে তার, করেছেন হ্যাটট্রিক। কিন্তু ওই উদযাপন ওয়ানাইল্ডামের হ্যাটট্রিককেও ছাপিয়ে গেছে। 

    সপ্তাহের শুরুতে ডাচ দ্বিতীয় বিভাগের ডেন বোশ ও এক্সেলসিওরের ম্যাচে বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন আহমেদ মেন্ডেস মরেয়ারা। এক্সেলসিওরের মেন্ডেসকে ইঙ্গিত করে কাকের ডাক দিয়েছিল মাঠের দর্শকেরা। পরে রেফারি খেলাও বন্ধ রেখেছিলেন। মেন্ডেসের কাছে পরে দুঃখ প্রকাশ করেছে ডেন বোশ। এই ঘটনা নজর এড়ায়নি অরেঞ্জদেরও। ডাচ জাতীয় দলের ফুটবলাররা এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগেরদিন 'এনাফ ইজ এনাফ' হ্যাশট্যাগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে রেখেছিলেন।

    আমস্টারডাম অ্যারেনা ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে ওয়ানাইল্ডাম ওই ঘটনার ব্যপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, "আমি হলে তো মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতাম, আর ফিরতাম না।" নেদারল্যান্ডস কোচ রোনাল্ড কোমেনও ম্যাচের আগে আহমেদ মেন্ডেসের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন।