• নিউজিল্যান্ডের অস্ট্রেলিয়া সফর
  • " />

     

    নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিলেন স্টার্ক-লায়নরা

    নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিলেন স্টার্ক-লায়নরা    

    প্রথম টেস্ট, পার্থ
    অস্ট্রেলিয়া ৪১৬ ও ২১৭/৯ ডিক্লে.
    নিউজিল্যান্ড ১৬৬ ও ১৭১ 
    অস্ট্রেলিয়া ২৯৬ রানে জয়ী


    জশ হ্যাজলউড ছিলেন না, ম্যাচে ৮ বল বোলিং করতে পেরেছেন তিনি হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে উঠে যাওয়ার আগে। তবে তাকে ছাড়াই পার্থে নিউজিল্যান্ডকে বড় পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া- মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ন্যাথান লায়নের সমন্বিত আক্রমণে। এক দিন বাকি থাকতেই নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসেও গুটিয়ে গেছে ২০০-এর নিচেই। 

    পার্থের ব্যাটিং-সহায়ক কিন্তু বোলারদের জন্য পর্যাপ্ত কিছু রাখা উইকেটে স্টার্ক ও লায়ন নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট, কামিন্স নিয়েছেন ২টি। ছয়জন কিউই ব্যাটসম্যান ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক, তবে তারা আটকে গেছেন ১৪-৪০ রানের মাঝেই। 

    হ্যাজলউডকে ব্যাটিংয়ে বাকি রেখেই নিউজিল্যান্ডকে ৪৬৮ রানের বড় লক্ষ্য দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৬ষ্ঠ  উইকেটে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও বিজে ওয়াটলিংয়ের ৫৬ রানের জুটিই যা একটু বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছিল অস্ট্রেলিয়ার জয়, তাছাড়া তাদের ট্রান্স-তাসমান প্রতিবেশীরা করেছে অসহায় আত্মসমর্পণই। 

    স্টার্কে বলে পয়েন্টে লায়নের হাতে ক্যাচ দিয়ে শুরু করেছিলেন জিট রাভাল। লায়ন বোলিংয়ে এসে দেখিয়েছেন ভেলকি, শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ড লাঞ্চে গিয়েছিল ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে। 

    দ্বিতীয় সেশনে নিউজিল্যান্ড হারিয়েছে তিন উইকেট- স্টার্কের ঘন্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতির বলে পুল করতে গিয়ে আন্ডার-এজড হয়েছেন টেইলর, লায়নের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন টম ল্যাথাম- যে উইকেট অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে রিভিউ নিয়ে, এ ম্যাচ দিয়েই সবচেয়ে বেশি টেস্টে অন-ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ের রেকর্ড গড়া আলিম দার দিয়েছিলেন নট-আউট। এরপর শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়েছেন হেনরি নিকোলস। 

    ডি গ্র্যান্ডহোম-ওয়াটলিংয়ের প্রতিরোধ এসেছে শেষ সেশনে। প্রায় ২০ ওভার টিকে ছিল তাদের জুটি, কামিন্সের দারুণ এক লাফিয়ে ওঠা বলে ভেঙেছে সেটি। ডি গ্র্যান্ডহোম গ্লাভড হয়ে স্লিপে ধরা পড়েছেন ৩৩ রান করে। নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যেতে বেশি সময় নেয়নি এরপর। ১৫৪ রানে দাঁড়িয়েই ব্যক্তিগত ৪০ রানে স্টার্কের বলে কট-বিহাইন্ড হয়েছেন ওয়াটলিং। নিউজিল্যান্ডের শেষ ৩ উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেটশিকারি।

    মোট ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন স্টার্ক। সিরিজের পরের টেস্ট বক্সিং ডে-তে, এমসিজিতে।