• ফেডারেশন কাপ
  • " />

     

    আরামবাগকেও উড়িয়ে দিল আবাহনী

    আরামবাগকেও উড়িয়ে দিল আবাহনী    

    ফুলটাইম
    আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ১-৫ ঢাকা আবাহনী 


    প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ এফসিকে গোলবন্যায় ভাসানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে আরামবাগের বিপক্ষেও সহজ জয় পেল ঢাকা আবাহনী। ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর ‘এ’ গ্রুপ থেকে তাদের সঙ্গী হয়েছে পুলিশ এফসি। 

    দুই ম্যাচে এই নিয়ে প্রতিপক্ষের জালে মোট ৯ বার বল পাঠাল আবাহনী। বিপরীতে গোল হজম করেছে মাত্র একটি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মারিও লেমোসের দল দাপট দেখিয়েছে শুরু থেকেই। প্রথম গোলের দেখাও তারা পেয়েছে ম্যাচের ১০ মিনিট পেরুনোর আগেই। একাদশে নামা জুয়েল রানার কাটব্যাকের পর বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের শটে গোল পেয়ে যান সানডে চিজোবা।


    ম্যাচের আগে আবাহনীর সমস্যা ছিল অবশ্য তিনজন খেলোয়াড় নিয়ে। অবশ্য ডিফেন্ডার রায়হান হাসান আর মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও মোহাম্মদ সোহেলদের খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। হাইকোর্টের রায় অবশ্য পরে পরিবর্তন হয়েছে, এই তিনজনের খেলাতেও কোনো সমস্যা ছিল না আই। বাকি দুইজনই খেললেও আরামবাগের বিপক্ষে মাঠে সোহেল রানা। এছাড়া রক্ষণেও পরিবর্তন এনেছিলেন লেমোস। মিশরীয় ডিফেন্ডার আলাদিন নাসের প্রথমবারের মত খেলেছেন আবাহনীর হয়ে। 

    ৯ মিনিটে এগিয়ে গেলেও বিরতির সময়ও ওই এক গোলের লিড নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর আরামবাগের ওপর দয়া দেখায়নি লেমোসের দল। ৫২ মিনিটে দারুণ এক দলগত গোল পেয়ে যায় তারা। বক্সেরর ঠিক বাইরে সানডে-মামুনুল-বেলফোর্টের দারুণ সমন্বয়ের পর বাম দিকে বল পান রায়হান। আর স্কয়ার পাস থেকে গোলের সামনে ফাঁকায় থাকা নাবিব নেওয়াজ জীবন টোকা দিয়ে পেয়ে যান টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় গোলও। 

    তৃতীয় গোলের দেখা পেতে এর পর আবাহনীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে মাত্র মিনিট পাঁচেক সময়। রায়হানের লম্বা থ্রো বক্সের ভেতর গিয়ে পড়েছিল জটলার ভেতর, আলাদিন ফ্লিক করে উঠিয়ে দেওয়ার পর পেছনে থাকা নাসির উদ্দিন চৌধুরী হেডে পেয়ে যান নতুন ক্লাবের হয়ে তার প্রথম গোলও। 

    আরামবাগ কোণঠাসাই ছিল, তিন গোল হজম করার পর ম্যাচ থেকে কিছু পাওয়ার সম্ভাবনাও ফুরিয়ে যায় তাদের। তবে আবাহনী নিজেদের খেলাটাই খেলে গেছে। ৭৩ মিনিটে বক্সের ভেতর বল পেয়ে মামুনুল ইসলাম কোণাকুনি শটে গোল করে নিজের নাম লেখান স্কোরশিটে। শেষ গোলে অবদান আবাহনীর দুই বদলির। রুবেল মিয়ার ক্রস থেকে হেডে গোল করে ফয়সাল আহমেদ শীতল। 

    প্রতিপক্ষকে পাঁচ গোল দিলেও ক্লিনশিট আর রাখা হয়নি আবাহনীর। মুরাদ হোসেন আরামবাগের হয়ে স্বান্তনার গোলটি করেছেন শেষদিকে গিয়ে। আরামবাগ কোচ জাহিদুর রহমান অবশ্য বড় হারেও খুব বেশি হতাশ নন। আপাতত প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে দলটা আরও গুছিয়ে নিতে চান তিনি। রেলিগেশন এড়ানোর মূল লক্ষ্য তার। 

    আর এখান থেকে আবাহনী কোচ লেমোসের জন্য শুরুর হয়ে গেল নতুন চ্যালেঞ্জ। শিরোপা জয়ই আর লক্ষ্য। কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ হবে গ্রুপ ‘সি’ এর রানার্স আপ। শেখ জামাল, সাইফ স্পোর্টিং আর রহমগতঞ্জ- তিন দলেরই কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে। আবাহনীর প্রতিপক্ষ কারা হবে সেটা জানা যাবে আগামীকাল সাইফ ও শেখ জামালের ম্যাচের পর।