বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী
ফুলটাইম
চট্টগ্রাম আবাহনী ২-০ বসুন্ধরা কিংস
ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে হারের স্বাদ কেমন সেটা বসুন্ধরা কিংসের একরকম অজানাই। বিরল সেই অভিজ্ঞতাটাই বসুন্ধরার সঙ্গী হলো চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে। ফেডারেশন কাপে গ্রুপ ‘বি’-এর শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে ২-০ গোলে হেরেছে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। কোয়ার্টার ফাইনালে তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই উঠেছে মারুফুল হকের চট্টগ্রাম আবাহনী, আর বসুন্ধরা কিংস হয়েছে রানার্স আপ।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৫ মিনিটেই রাকিব হোসেনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। চিনেদু ম্যাথুর ক্রস থেকে সহজ ট্যাপ ইনে গোল করেন রাকিব। এর পর অবশ্য ম্যাচের পরিস্থিতি পাল্টে যায় প্রথমার্ধ শেষের আগেই। ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বসুন্ধরার তাজিক ডিফেন্ডার আখতাম নাজারোভ। দশ জনের বসুন্ধরার বিপক্ষে এর পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে চট্টগ্রাম আবাহনী। চার্লস দিদিয়ের নাসিরুল ইসলামের ক্রস থেকে হেডে করেন দ্বিতীয় গোল।
প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১-০ ব্যবধানে হারানো বসুন্ধরাকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে জিততেই হত। আর চট্টগ্রাম আবাহনীর দরকার ছিল এক পয়েন্ট। প্রথমার্ধেই দশ জনের বসুন্ধরার বিপক্ষে দুই গোলের লিডে পাওয়ার পর চট্টগ্রাম আবাহনীর জয় নিয়ে সংশয়ের সুযোগ ছিল কমই। বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজোন একাদশে ৫ পরিবর্তন এনেছিলেন। ‘দ্বিতীয়’ একাদশটা খেলিয়ে অবশ্য ফল পাননি তিনি।
তবে বসুন্ধরার হারের ব্যবধান বাড়তে পারত আরও। চার্লস দিদিয়ের শেষদিকে গোলের সামনে থেকে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। স্ট্রাইকার নিক্সনের প্রচেষ্টাও গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নুরুল নাইম ফয়সাল। রাকিব হোসেনও দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন। তবে তার হেড গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো ঠেকিয়ে দিয়েছেন দারুণ এক সেভে।
বসুন্ধরাকে হারিয়ে ভেসে যাচ্ছেন না মারুফুল হক
চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ অবশ্য এই জয়কে খুব বড় করে দেখছেন না। ঘরোয়া ফুটবলে শীর্ষ পর্যায়ে এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার হারল বসুন্ধরা কিংস। এর পরও মারুফুল হক বলছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্য এই জয় এমন বড় কিছু নয়। জানিয়েছেন শিরোপা জেতাই তার লক্ষ্য।
চট্টগ্রামকে শিরোপার দাবিদার মানছেন বসুন্ধরা কোচও
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের হার নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত মনে হয়নি অস্কার ব্রুজোনকে। বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, এই টুর্নামেন্টের ফরম্যাটের কারণে শেষ ম্যাচটা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিল। একাদশে নিয়মিতদের বাদ দিয়ে নতুনদের বাজিয়ে দেওয়ার কারণও সেটা। ব্রুজোন বলছেন নক আউট পর্বের জন্য খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রেখেছিলেন তিনি।
চট্টগ্রাম আবাহনী যেভাবে খেলেছে তাতে অবশ্য তাদের শিরোপার দাবিদার মানছেন ব্রুজোন, “চট্টগ্রাম দুর্দান্ত খেলেছে। ওদের খেলাই প্রমাণ করেছে ওরা শিরোপার অন্যতম বড় দাবিদার।”