• বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ
  • " />

     

    গোল খাওয়ার ধরন নিয়েই হতাশ জেমি ডে

    গোল খাওয়ার ধরন নিয়েই হতাশ জেমি ডে    

    বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছে ফিলিস্তিনের কাছে হেরে। দুই অর্ধে দুই গোল খেয়ে সেমিফাইনালে ওঠার যাত্রাটাই এখন কঠিন হয়ে গেছে জেমি ডের দলের। ম্যাচে হারটা নিয়ে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডের খুব বেশি হতাশা না থাকলেও, যে দুইটি গোল তার দল খেয়েছে সেটি নিয়ে  আফসোস আছে তার। 

    প্রথমার্ধে বাংলাদেশ গোল খেয়েছে কাউন্টার অ্যাটাকে। যে গোলের উৎপত্তি ছিল বাংলাদেশেরই একটি লং থ্রো। দ্বিতীয় গোলে তপু বর্মন এরিয়াল বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। তবে সেটারও উৎস ছিল মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মিডফিল্ডে করা একটি অযাচিত ফাউল। 

    বাংলাদেশের গোল হজমের ধরন নিয়েই হতাশা ডের, "ওরা একটি গোল করেছে আমাদের লং থ্রো থেকে। আমাদের কাছেই বল পজেশন ছিল। এর পর মিডফিল্ডেও আমরা বল পজেশন বিলিয়ে দিয়ে পরে আরেকটি গোল খেয়েছি। এটা খুবই হতাশার।"

    "এভাবে বল পজেশন বিলিয়ে দিলে ভালো প্রতিপক্ষ আপনাকে শাস্তি বুঝিয়ে দেবে। এটা মারাত্মক হতাশার যেভাবে আমরা গোল দুইটি খেলাম। ফুটবলারদের ফাউল করতে হয়, কিন্তু এমন ফাউল করলে ভালো মানের ফুটবলাররা আপনার বিপক্ষে গোলও করবে।"

    ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ফিলিস্তিনের চেয়ে ৮১ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। গতবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন এবার বাংলাদেশে এসেছে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে। এর পরও এমন হারের কারণ কী? ডে অবশ্য বলছেন যেমন দল নিয়েই খেলুক ফিলিস্তিনের এই দলকেও খাটো করার উপায় নেই, "অলিম্পিক দল হোক আর যে দলই হোক, ফিলিস্তিনের জাতীয় দল শক্তিশালী। যে প্রথম গোলটি করেছে সে গতবারও ফিলিস্তিনের হয়ে খেলেছে (বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ২০১৯)। দলের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনের শেষ ম্যাচের স্কোয়াডে ছিল।" 

    জেমি ডে এর পর মনে করিয়ে দিয়েছেন বাস্তবতা। ফিলিস্তিনের এই স্কোয়াডের বেশিরভাগ ফুটবলারই খেলেন দেশটির স্থানীয় লিগে, "ফিলিস্তিন লিগের মান বাংলাদেশের লিগের চেয়ে অনেক ভালো। যে খেলোয়াড়রা ফিলিস্তিনের লিগে খেলে তারা তো বাংলাদেশের চেয়ে ভালো মানেরই হবে। তরুণ খেলোয়াড়রাও তাদের (ফিলিস্তিনের) ইউথ সিস্টেমের দিয়ে উঠে আসছে।"