তামিমের রেকর্ড ৩৩৪*-এর দিনে ইস্টে পিষ্ট সেন্ট্রাল
৩য় দিন, স্টাম্পস
সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংস ২১৩ অল-আউট ও ২য় ইনিংস ১১৫/৩*
ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৫৫৫/৫ ডিক্লে.
সেন্ট্রাল জোন ২২৭ রানে পিছিয়ে
‘ওর কাজ শেষ, এবার আমাদের পালা’, ইস্ট জোনের একজন বলছিলেন তামিমের ইনিংসকে ইঙ্গিত করে, মুমিনুল হক ইনিংস ঘোষণার পর।
ক্রিকেটের দলীয় খেলাতেও ব্যক্তিগত মাইলফলক হয়তো এমনই, ম্যাচের পরিস্থিতি যেখানে ছাপিয়ে যায় প্রায়ই। তামিম ইকবালের ট্রিপল সেঞ্চুরি ও রেকর্ডগড়া ইনিংসের দিনে ইসলামি ব্যাংক ইস্ট জোন ও ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের ম্যাচেও অবস্থা সেরকমই। অবশ্য তামিমের ট্রিপলের পর বেশ দৃঢ় অবস্থাতেই আছে ইস্ট জোন, দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের চেয়ে ২২৭ রানে পিছিয়ে আছে সেন্ট্রাল জোন, বাকি আছে ৭ উইকেট।
আগেরদিন মুমিনুল আউট হওয়ার সময় তামিম অপরাজিত ছিলেন ২০৮ রানে। ইয়াসির আলি রাব্বির সঙ্গে এরপরের জুটিটি গেল ১৯৭ রান পর্যন্ত, সে জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙতেই পারেনি সেন্ট্রাল জোন। ইস্ট জোন লাঞ্চে গেছে ৪৮২ রান বোর্ডে নিয়ে, ট্রিপল থেকে তখন ২১ রান দূরে ছিলেন তামিম, রাব্বি অপরাজিত ছিলেন ৪৫ রানে।
প্রথম সেশনে মোস্তাফিজকে দিয়ে মাত্র এক ওভার করিয়েছিলেন সেন্ট্রাল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, টেস্ট স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া এই পেসার শেষ পর্যন্ত খরচ করেছেন ১০৬ রান। অন্য দুই পেসার শহিদুল ইসলাম ও মুকিদুল ইসলাম দিয়েছেন যথাক্রমে ১১৯ ও ৭১ রান। ৪৯ ওভার বোলিং করে ১৬২ রান দিয়েছেন অফস্পিনার শুভাগত হোম চৌধুরি।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেও ঠিক গিয়ার বদলায়নি ইস্টের ব্যাটিংয়ের, তামিম মাইলফলকের দিকে এগুচ্ছিলেন, রাব্বিও করেছেন সতর্ক ব্যাটিং। বিরতির পর প্রথম ৮ ওভারে ১৪ রান তুলেছেন দুজন মিলে, শুভাগতকে চার মেরে ২৯০ পেরিয়েছেন তামিম, রানের গতি একটু বেড়েছে তাতেই।। শুভাগতর বলে মিডউইকেটে সিঙ্গেল নিয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন তামিম, এরপরের ওভার থেকে ২৯ বলে হয়েছে ৪৪ রান। এর আগেই ফিফটি ছুঁয়েছিলেন রাব্বি, ইনিংস ঘোষণার সময় তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৭২ বলে ৬২ রান করে।
৩৪২ রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্য সরকার ফিরেছেন দ্রুতই। প্রথম ইনিংসে ছিলেন আক্রমণাত্মক, তবে এবার ছিলেন সতর্ক। সেই অতি-সতর্কতাই কাল হলো যেন তার, রাহির গুডলেংথের বলটা হুট করে ভেতরের দিকে ঢুকলো, সৌম্য ইনসাইড দ্য লাইন খেলতে গিয়ে লিডিং এজড হয়ে দিলেন স্লিপে ক্যাচ। সে ক্যাচটা বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণভাবে নিলেন রাব্বি।
সাইফ হাসান আগের ইনিংসের মতো ততটা ধীর মেজাজে ছিলেন না, রাহির বলে একবার হাতে চোট পেয়ে একটু ছেদ পড়লো তার ইনিংসে। নাঈম হাসানের অফস্টাম্পের বাইরের বলে এজড হয়ে তিনিও দিলেন স্লিপে ক্যাচ। এর আগে শান্তর সঙ্গে সাইফের জুটি ছিল ৫৬ রানের।
শান্ত এরপর রকিবুলকে নিয়ে গড়েছেন ৪১ রানের জুটি। ৭৫ বলে ফিফটি করেছেন শান্ত, তবে নাঈমের বলে সুইপের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তিনি ধরা পড়েছেন শর্ট ফাইন লেগে। ৮৫ বলে ৮ চারে ৫৪ রান করেছেন তিনি। এরপর নাইটওয়াচম্যান শহিদুল ইসলাম বাকি সময়টা পার করেছেন নিরাপদেই।
রকিবুল দিনশেষে অপরাজিত আছেন ১৬ রানে, অবশ্য একবার স্টাম্পিংয়ের সুযোগ দিয়েও বেঁচে গেছেন জাকির ঠিকঠাক সেটি করতে না পারায়।
দিনশেষে রকিবুলের ইনিংসটি ফিরে এলো বারবার, তার সেই ইনিংসকে ছাপিয়ে গিয়েই যে আলোচনায় এলেন তামিম।