৫ গোলের ম্যাচে নাটক জমিয়ে জিতল বসুন্ধরা কিংস
ফুলটাইম
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২-৩ বসুন্ধরা কিংস
ম্যাচের ৪৮ মিনিটের ভেতর ৩-০ গোলের লিড নিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে তখন পাহাড় পাড়ি দিতে হত। আর বসুন্ধরা যে দাপটের সঙ্গে খেলছিল তাতে ব্রাদার্সের ফেরার সুযোগ ছিল অল্পই। ব্রাদার্স শেষ পর্যন্ত পারেনি, তবে বসুন্ধরাকে সহজে জিততেও দেয়নি। শেষদিকে দুই গোল শোধ করে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল ব্রাদার্স। আবাহনীর সঙ্গে ড্রয়ের পর আরেকটি হার না মানা পারফরম্যান্স তাদের প্রেরণাই যোগানোর কথা।
বসুন্ধরাকে জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। জাতীয় দলের ফুটবলার করেছেন জোড়া গোল। দুইটি গোলই ছিল দেখার মতো। ১৭ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ডান পায়ের প্লেসিং শটে কাছের পোস্টে বল জড়ান ইব্রাহিম।
প্রথমার্ধ শেষের মিনিট খানেক আগে ইব্রাহিম ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। প্রথম গোলের মতো এবারও দানিয়েল কলিনদ্রেসের পাসে। তবে এবারও পুরোটাই ইব্রাহিমের অবদান। দ্রুত বক্সের ভেতর ঢুকে এগিয়ে আসা ব্রাদার্স গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি অ্যাঙ্গেলে পছন্দের বাম পায়ে জালে বল ঠেলে দেন ইব্রাহিম।
ব্রুজোন একাদশে পরিবর্তন এনেছিল আরও একবার। তারিক কাজির জায়গায় রক্ষণে ফিরেছিলেন ইয়াসিন খান। আর ৪-৪-২ ফর্মেশনে দুই মিডফিল্ডার আলমগীর কবির রানা ও বখতিয়ার দুশবেকভের ওপর ভরসা করেছিলেন। নিকোলাস দেলমন্তে ছিলেন বিশ্রামে। ইনজুরি থেকে ফিরে মৌসুমে প্রথমবারের মতো নেমেছিলেন বিপলু আহমেদ। প্রথমার্ধে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি। প্রায় ৪০ গজ একাই দৌড়ে গিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে শট করেছিলেন। তবে তিনিও গোলরক্ষক জাফর সর্দারের আটকে গেছেন। ফিরতি বলে ফাঁকা বার সামনে রেখে তৌহিদুল আলম সবুজ বল মেরেছেন আকাশে উঠিয়ে।
প্রথমার্ধের পুরোটাই ছিল বসুন্ধরার দাপট। দ্বিতীয়ার্ধও শুরু হলো একই ছন্দে। বক্সের বাইরে কোনা থেকে থেকে বল থামিয়ে ডান পায়ে চিপ করে টপ কর্নারে বল জড়িয়ে দানিয়েল কলিনদ্রেস ব্যবধান ৩-০ করে ফেলেন বিরতির পরপরই।
৩ গোলের লিডের পরই কিছুটা থিতিয়ে যায় বসুন্ধরা। আর ব্রাদার্স শেষদিকে গিয়ে পেয়েছে হাল না ছাড়ার ফল। ৬৫ মিনিটে কিংসলে চিগোজি দারুণ এক গোল করে ব্রাদার্সকে খানিকটা আশা দেখিয়েছিলেন। সেই পালে হাওয়া লেগেছিল ৭৭ মিনিটে। অপ্রুপ কুমার বৈদ্য বক্সের ভেতর থেকে হেডে গোল করে হুট করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন।
বাকিটা সময় অবশ্য বসুন্ধরা আর ব্রাদার্সকে তেমন সুযোগ দেয়নি। তবে ম্যাচের শেষটা হয়েছে বাদানুবাদে। ব্রাদার্স কোচ রেজা পার্কাস শেষদিকে তেঁতে গিয়েছিলেন। বসুন্ধরা খেলোয়াড়দের কোনো এক আচরণ পছন্দ হয়নি তার। যদিও পরস্থিতি ঠান্ডা হয়েছে অল্পতেই। বসুন্ধরা স্বস্তি পেয়েছে পুরো ৩ পয়েন্ট বাগিয়ে নিয়ে।