কলিনদ্রেস, বখতিয়ারের গোলে রহমতগঞ্জকে টপকে গেল বসুন্ধরা
ফুলটাইম
রহমতগঞ্জ ১-২ বসুন্ধরা কিংস
রহমতগঞ্জের বিপক্ষে সহসা গোল পাবেন না। একরকম নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা। রহমগতগঞ্জও প্রতিপক্ষকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে ভালোবাসে। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে খুব বেশি ভুগতে হয়নি এবার। বসুন্ধরার জয়টা অবশ্য মাত্র এক গোলের ব্যবধানে। তবে এই জয়েও তৃপ্তি থাকার কথা অস্কার ব্রুজোনের। ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে তার দল।
যদিও বঙ্গবন্ধু সেটডিয়ামে ম্যাচের ৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য কাজটা আরেকটু সহজ হতে পারত বসুন্ধরার। মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পাস থেকে দানিয়েল কলিনদ্রেস গোল করে রহমতগঞ্জকে শুরুতে ফেডারেশন কাপের ফাইনালের কথা মনে করিয়ে দেন। সে ম্যাচে জোড়া গোল করে রহমতগঞ্জের শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিলেন কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড। বক্সের ঠিক ভেতরে বাম কোণায় বল পেয়েছিলেন কলিনদ্রেস। ডান পায়ের জোরালো শটে দূরের পোস্টে বল জড়ান তিনি।
ম্যাচের সবগুলো গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। বিরতির আগে ৭ মিনিটে ব্যবধানে দুই দলই করেছে একটি করে গোল। ৩৯ মিনিটে ম্যাচে ফেরে রহমতগঞ্জ। বক্সের বাইরে থেকে রহমগঞ্জের করা শট প্রথমে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন আনিসুর রহমান জিকো। তবে রিবাউন্ডে তুরারেভ আকোবিরকে আর আটকাতে পারেননি। উজবেক ফরোয়ার্ড ফাঁকা বারে বল ঢুকিয়ে রহমতগঞ্জকে সমতায় ফেরান। ৪৫ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে বখতিয়ার দুশবেকভ বক্সের ভেতর ঢুকে জোরালো শটে আবার বসুন্ধরাকে এগিয়ে নেন। ওই গোলেই পরে ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে ম্যাচের।
দ্বিতীয়ার্ধেও অনুমিতভাবে বসুন্ধরা বল পজেশনে ঢের এগিয়ে ছিল। দুই উইং দিয়ে দারুণ সব আক্রমণও সাজাচ্ছিল তারা। তবে ভালো ফিনিশের অভাবে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি তাদের। রহমতগঞ্জ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারত। ৮৩ মিনিটে জিকো আর দুশবেকভ বাধা হয়ে দাঁড়ালেন। জিকো প্রথমে বক্সের ভেতর থেকে করা খলিল ভুঁইয়ার জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন। পরে ওই আক্রমণ থেকেই আকোবিরের হেড গোল লাইন থেকে ফেরান বখতিয়ার।
৪ ম্যাচ শেষে বসুন্ধরার পয়েন্ট দাঁড়ালো ১০। আপাতত প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে আছে তারা।