আবাহনীকে শীর্ষে উঠতে দিল না চট্টগ্রাম আবাহনী
ফুলটাইম
আবাহনী লিমিটেড ০-২ চট্টগ্রাম আবাহনী
বসুন্ধরা কিংস হেরেছে, হেরেছে সাইফ স্পোর্টিংও। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ঢাকা আবাহনী ড্র করলেই শীর্ষে উঠে যেত। কিন্তু মারিও লেমোসের দল আরও একবার সুযোগ হারিয়েছে। চার্লস দিদিয়ের ও নাসিরুল ইসলামের দারুণ দুই গোলে আবাহনীকে হারিয়ে এখন শীর্ষস্থানে উঠে গেছে মারুফুল হকের দলও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ৫ ম্যাচ শেষে এখন যুগ্মভাবে শীর্ষে আছে ৪ দল। বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী, চট্টগ্রাম আবাহনী, সাইফ স্পোর্টিং- সবদলেরই পএয়ন্ট ১০।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাড়মেড়ে ম্যাচের ডেডলক ভেঙেছে ৬২ মিনিটে। রাকিব হোসেনের ডান প্রান্ত থেকে করা কাটব্যাক বক্সের ঠিক বাইরে পেয়ে গিয়েছিলেন দিদিয়ের। তাকে পাহারায় রাখেননি আবাহনীর কেউই। এর পর বাম পায়ের বাঁকানো শটে টপ কর্নারে বল জড়িয়ে চট্টগ্রাম আবাহনী অধিনায়ক দলকে এগিয়ে নেন।
গোল হজমের পর আবাহনী অবশ্য ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল। তবে নিশ্চিত গোলের সুযোগ তারা তৈরি করেছিল ৮৭ মিনিটে। সোহেল রানার ক্রসের পর গোলের ১০ গজ দূর থেকে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। তখন আরও দুর্দান্ত এক সেভে আবাহনীকে আর গোল পেতে দেননি চট্টগ্রাম আবাহনী গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাইম।
পরে যোগ করা সময়ে দিদিয়েরের পাস থেকেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নাসিরুল ইসলাম। দিদিয়েরের ডায়াগোনাল পাস বক্সের ভেতর কোণায় পেয়েছিলেন নাসির। এর পর বাম পায়ের শটে তিনিও বল জড়িয়েছেন টপ কর্নারে।
দিদিয়েরের ওই গোলের আগ পর্যন্ত অবশ্য চট্টগ্রাম আবাহনী আক্রমণ তেমন ধারালো ছিল না। আবাহনী সেট পিস থেকে গোলের চেষ্টা করে যাচ্ছিল তখন। বেশ কয়েকবার বক্সের ভেতর থেকে হেড করেও অবশ্য কোনো ফল পাননি বেলফোর্ট, মেলসনরা।
লেমোসের দল ৬ দিনের ব্যবধানে মাঠে নেমেছিল তৃতীয় ম্যাচ খেলতে। আগের দুই ম্যাচের একাদশটাই মাঠে নামিয়েছিলেন আবাহনী কোচ। শেষ ম্যাচে মোহামেডানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর একরকম আবাহনীকে মাটিতেই নামিয়ে এনেছেন মারুফুল হক। প্রথমার্ধে আবাহনী অবশ্য একটি পেনাল্টির আবেদন তুলেছিল। এডগার বের্নহার্ডের ক্রস বাইলাইনের কাছে চট্টগ্রাম আবাহনী ডিফেন্ডারের হাতে লাগলেও রেফারির কাছে পেনাল্টি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট মনে হয়নি সেটি।
অন্য ম্যাচে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল পেয়েছে মৌসুমের প্রথম জয়। মুক্তিযোদ্ধাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা।