• নিউজিল্যান্ডের অস্ট্রেলিয়া সফর
  • " />

     

    অস্থির সময়েও 'স্বস্তি'র দিক খুঁজে পাচ্ছেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার

    অস্থির সময়েও 'স্বস্তি'র দিক খুঁজে পাচ্ছেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার    

    ২৭ তারিখ থেকে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ চালু হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। এ কথাটা যেন এখন পরাবাস্তবের মতো। চীন এবং ইউরোপ বাদ দিলে অস্ট্রেলিয়া তো করোনাভাইরাসে সবচেয়ে আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে একটি। তবে এমন সময়ও নিজের ক্রিকেটারদের জন্য ইতিবাচক দিক খুঁজছেন অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের হেড কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। বলছেন, এ ‘বিশ্রাম’টা দরকার ছিল তাদের, সঙ্গে ক্রিকেটারদের ফিট থাকার ব্যাপারেও কোনও সংশয় নেই তার। 

    শেষ শীতের পর থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ, অ্যাশেজে, বিভিন্ন সফর, দেশের মাটির গ্রীষ্মের পর সামনেও ছিল ঠাসা সূচি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ। ল্যাঙ্গার তাই এই বিরতিকে কাজে লাগাতে বলেছেন। 

    “ব্যক্তিগতভাবে বলবো, আমি ক্রিকেটারদের এর মাঝ থেকেও ‘সিলভার লাইনিং’ খুঁজতে বলবো”, পার্থের বাসা থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেছেন ল্যাঙ্গার। “আমরা মৌসুমের শেষপ্রান্তে আছি, যদি এই সুযোগে আমরা নিজেদের শারীরিক এবং মানসিক দিক দিয়ে একটা বিরতি দিতে পারি।” 

    “এটা নির্বাণলাভের মতো (ধ্যানের পর শ্রান্তি), আমরা নিজেদের পরিবারের সঙ্গে থাকছি, নিজেদের বিছানায় ঘুমাচ্ছি, ঘরের খাবার খাচ্ছি। ঘর থেকে কোনও না কোনও পর্যায়ে কাজও করতে পারব।” 

    দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়ই ক্রিকেটারদের বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা খেয়াল করেছিলেন তিনি, “দক্ষিণ আফ্রিকায় বুঝেছিলাম, আমাদের কিছু ক্রিকেটার শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে বিধ্বস্ত।

    “পুরো শীতে আমরা বিশ্বকাপ খেলেছি, এরপর অ্যাশেজ, এরপর আমাদের গ্রীষ্ম। এবং অনেকেই সরাসরি আইপিএল থেকে বিশ্বকাপে এসেছিল।” 

    “যেটা বলতে চাচ্ছি, এই সময়টা তাদের রিচার্জ হওয়ার একটা ভাল সুযোগ। এরপর যাই আসুক, আমরা যাতে তৈরি থাকতে পারি।” 

    ক্রিকেটাররা যে এ সময়েও নিজেদের ফিট রাখবেন, এ ব্যাপারে সংশয় নেই ল্যাঙ্গারের, “আমি খুবই বিস্মিত হবো, যদি ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম না করে (এ সময়ে)। পেশাদার অ্যাথলেট হিসেবে নিজেদেরকে ফিট ও ঠিকঠাক রাখা তাদের দায়িত্ব। আমাদের হয়তো কাঠামোগত সুবিধা নেই এই মুহুর্তে আগের মতো, তবে এগুলোকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি।” 

    শুধু ক্রিকেটাররা নন, ল্যাঙ্গার তো নিজেও ‘বসে’ আছেন আপাতত। দেশ ‘লকডাউন’-এ চলে যাওয়ার পর এমনকি চাকরি নেই তার তিন মেয়েরও। তবে তিনি বসে থাকতে রাজি নন, “আমরা জানি আমরা বসে থাকতে পারবো না। জানি না, এটা কতদিন চলবে।” 

    “সামনে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে নিজেকে উজ্জীবিত রাখা মুশকিল। তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সামনের কয়েক মাস খুব দ্রুত চলে যাবে। আমাদের তৈরি থাকতে হবে।”