ফুটবল মৌসুমের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে, তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আশাবাদি আইসিসি
অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল মৌসুমের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে জেনেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জমকালো আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করছে আইসিসি। অক্টোবরের ১৮ তারিখ থেকে নভেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা আছে ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসর।
আপাতত কভিড-১৯ এর কারণে সব খেলাই মোটামুটি বন্ধ, তবে এসব সিরিজ-টুর্নামেন্ট-লিগ শুরুর সম্ভাব্য সময় নিয়েও চলছে আলোচনা, যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে সেক্ষেত্রে ক্রিকেটের সময় সাংঘর্ষিক হয়ে পড়বে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল ও রাগবির সঙ্গে।
এমনিতে অস্ট্রেলিয়ায় জনপ্রিয় ফুটবল মৌসুম শেষ এবং পরবর্তী ক্রিকেট গ্রীষ্মের মৌসুম শুরু হওয়ার মাঝের সময়টিতে হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আছে ন্যাশনাল রাগবি লিগ এবং অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগ- রুলস ফুটবলের লিগ যেটি। এসব টুর্নামেন্ট আবার ক্রিকেট ভেন্যুও ব্যবহার করে।
তবে কভিড-১৯ এর প্রভাব কাটিয়ে আবার এসব লিগ শুরু হতে পারলে সেসব শেষ হতে সেপ্টেম্বর পার হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে পড়বে তা। অবশ্য এমসিজিসহ অন্যান্য ভেন্যুগুলোর সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যাপারে চুক্তি আছে আইসিসির, তবে ব্রডকাস্টিংসহ অন্যান্য ইস্যুতে পাকিয়ে যেতে পারে জট।
এরই মাঝে ইউরো ২০২০ এবং টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে পরের বছরে। তবে আইসিসি ফ্রেঞ্চ ওপেনসহ অন্যান্য ইভেন্ট অনুসরণ করতে চায়, যারা সেপ্টেম্বরের দিকে মাঠে ফিরতে চাচ্ছে।
“আমরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে চাই, ফলে এখনই দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে আসতে চাই না”, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেছেন এএপিকে, জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ডট এইউ। “আশা করি সব সমস্যার সমাধান হবে, এবং আমরা এগিয়ে যাব। যদি পুরোপুরি সমাধান না হয়, তবে আমরা সম্ভাব্য সব দিকগুলির বিবেচনা করছি, আপাতত এটিই যথার্থ।”
“সবার সঙ্গেই আলোচনা করছি আমরা। তবে এখন আমাদের হাতে সাত মাসের একটু কম দূরে আছি (এ টুর্নামেন্ট থেকে), ফলে আমাদের একটু সময় আছে।
“অবশ্যই আমরা শীতকালিন ফুটবল কোডস (রুলস ফুটবল, রাগবি) এর কথা ভাবছি। তারা মৌসুম দীর্ঘায়িতে করলেও আমরা মনে করি বিশ্বকাপ একটা বড় ব্যাপার, আগামী ১০-২০ বছরে এখানে এটি নাও হতে পারে আর।”
“মানুষ বিশ্বকাপ ভালবাসে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় খেলা। দেশজুড়ে ভেন্যুগুলোতে খেলব আমরা, যেগুলোর বিশ্বের অন্যতম সেরা। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ব্রডকাস্টারদের কাছেও আকর্ষণীয়। এরই মাঝে টিকেট বিক্রির হার আমাদের উৎসাহিত করেছে।”
এর আগে ফেব্রুয়ারি-মার্চে হওয়া উইমেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বেশ সফলভাবে অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজন করেছে আইসিসি। এমসিজির ৮ মার্চের ফাইনাল ভেঙেছে দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড।