টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর কোচিং স্টাফে বদল আসছে সালমাদের?
গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত উইমেন্স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের সার্বিক পারফরম্যান্সে হতাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলেও বাংলাদেশ মূল প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচেই হেরেছে। আর শতভাগ ব্যর্থতার ফলে দলের হেড কোচসহ কোচিং স্টাফে কিছু বদল আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বিসিবি।
সাম্প্রতিক সময়ে নারী দলের পারফরম্যান্স গ্রাফ বিচারে এই টুর্নামেন্টে দলের কাছ থেকে চাওয়াটা একটু বেশিই ছিল বিসিবির। আসরকে সামনে রেখে বিসিবি নারী ক্রিকেটারদের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ব্যবস্থাও করেছিল, নিজেদের খরচে দলকে টুর্নামেন্ট শুরুর প্রায় ২০ দিন আগেই অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়েছিল, যাতে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ জিতে মূল টুর্নামেন্টে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন সালমারা। কিন্তু মূল টুর্নামেন্টে আর খোলস ছেড়ে বের হওয়া হয়নি তাদের।
আর তাই এতো প্রস্তুতির পরও শতভাগ ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে নামছে বিসিবি, ক্রিকবাজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী, “সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে আমরা অবশ্যই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণ করব। বিষয়টি আরও আগেই আমাদের বসার কথা ছিল, তবে করোনা মহামারীর কারণে তা পিছিয়ে গেছে।”
ক্রিকবাজের সূত্রমতে, বিশ্বকাপের সময় হেড কোচ এবং কোচিং স্টাফদের বেশকিছু পদক্ষেপ মনঃপুত হয়নি বিসিবির। বিশেষভাবে রুমানা আহমেদকে ব্যাটিং অর্ডারের ওপরের দিকে না খেলানোর বিষয়টি ঘুরে ফিরে আসছে। এছাড়া হেড কোচ অঞ্জু জৈনের কঠোর ভাবমূর্তিতে দলের ভালোর চেয়ে খারাপটাই বেশি হচ্ছে। তাই সামনের দিনগুলোতে নারী দলের কোচিং প্যানেলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে নারী ক্রিকেটাররাও এখন ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছেন। চলতি মাসে জাতীয় লিগ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন পিছিয়ে গেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। নারী ক্রিকেটারদের আয়ের অন্যতম উৎস প্রিমিয়ার লিগের ভবিষ্যতও শঙ্কার মুখে। আগামী জুলাইতে শ্রীলঙ্কায় ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ হওয়ার কথা, সেটিও এখন অনিশ্চিত। বিসিবির পক্ষ থেকে অবশ্য চুক্তিভুক্ত ২০ নারী ক্রিকেটারকে এরই মধ্যে একদফা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি প্রলম্বিত হলে এমন সহয়তা আবারও দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে বিসিবি।