• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    ক্রিকেট বলে থুতু-লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    ক্রিকেট বলে থুতু-লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা    

    দৃশ্যটা অপরিচিত তো নয়ই, এতোই পরিচিত যে হুট করে বন্ধ হয়ে গেলে বেখাপ্পা ঠেকতে পারে আপনার কাছে। বোলার বা ফিল্ডাররা সুইংয়ের আশায় মুখ থেকে থুতু বা লালা নিয়ে হাতে নিচ্ছেন, এরপর বলের ওপর লাগিয়ে সেটি ঘষছেন ট্রাউজারস বা জার্সির হাতায়। শুধু থুতু বা লালা দিয়ে কাজ না হলে ক্রিকেটাররা আশ্রয় নিয়েছেন অদ্ভুত সব উপকরণের, সেটি জিপার, মিন্ট থেকে শুরু করে গিয়ে ঠেকেছে স্যান্ডপেপার পর্যন্ত- অবশ্য সেটি হয়ে যায় তখন বল টেম্পারিং! তবে ‘বেসিক’ থেকে গেছে ওই মুখ নিঃসৃত তরলই। 

    মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রিকেট বলে থুতু বা লালা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা উচিৎ। কভিড-১৯-এর ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে বলে সব স্তব্ধ এখন, তবে এরপর আবারও খেলা শুরু হলে এ ব্যবস্থা নিতে বলছেন তারা। তাদের মতে, এ ভাইরাসের ছোঁয়াচে ধরন আর জড় বস্তুতে অনেক্ষণ টিকে থাকার ক্ষমতার কথা বিবেচনায় এনে নেওয়া উচিৎ এমন সিদ্ধান্ত। 

    দ্য টেলিগ্রাফকে মেলবোর্নের ফেডারেশন ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলোজিস্ট রিচার্ড ব্র্যাডবুরি বলেছেন, বলে থুতু দিলে সেটা হবে ঝুঁকিপূর্ণ, ভাইরাসের আচরণ বিবেচনায় নিলে। “আমার মনে হয় না এটা করতে দেওয়া হবে”, বলেছেন তিনি। 
     


    "থুতু হচ্ছে সংক্রমণ ছড়ানোর ‘ক্ল্যাসিক’ পদ্ধতি"


    একই মত অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সনজায়া সেনানায়েকেরও, “অবশ্যই ক্রিকেট বলে থুতুর ব্যবহার থাকবে না। ভাইরাস লালায় পাওয়া গেছে।” 

    ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবরার এপিডেমিওলোজিস্ট রোল্যান্ড কাওয়ের মতে, থুতু হচ্ছে সংক্রমণ ছড়ানোর ‘ক্ল্যাসিক’ পদ্ধতি, ফলে ‘এর ঝুঁকি বেশি। এবং এরকম করতে দেওয়ার ব্যাপারটা মোটেই ঠিক কিছু হবে না'। তার মতে, শুধু কভিড-১৯ নয়, অন্য রোগ ছড়ানোরও উপায় হতে পারে বলে থুতু দেওয়া। 

    অবশ্য আবার ক্রিকেট শুরু হলে কী কী পরিবর্তন আসবে, তা নিশ্চিত নয়। আপাতত ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড দর্শকবিহীন মাঠে খেলা শুরু করার আলোচনা করছে। তবে ‘থুতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা’ তাদের আলোচনায় আসেনি এখনও বলে জানিয়েছেন ইসিবির ডিরেক্টর অফ ইভেন্টস স্টিভ এলওর্দি, “মাঠে রোগবালাই ছড়াতে না পারে, এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই আমরা। দলগুলোর ক্ষেত্রেও কঠোর হওয়া হবে, মেডিকেল উপদেশ মানার ক্ষেত্রে।” 

    আপাতত ২৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করা হতে পারে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ। সেক্ষেত্রে বেশ আর্থিক ডামাডোলের মধ্য দিয়ে যেতে হবে তাদের।