• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    কভিড-১৯ এর প্রভাব আলোচনায় আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটির মিটিং বসছে

    কভিড-১৯ এর প্রভাব আলোচনায় আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটির মিটিং বসছে    

    ক্রিকেটের সূচি এবং এসবের ওপর কভিড-১৯ এর প্রভাব নিয়ে আলোচনায় বসছে আইসিসি। বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটির (সিইসি) মধ্যে থাকা পূর্ণ সদস্য এবং তিনটি সহযোগী সদস্যের বোর্ডের প্রধান নির্বাহীরাসহ মিটিং করবেন কনফারেন্স কলের মাধ্যমে। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ওয়ানডে লিগসহ এ বছরের শেষের দিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। 

    কভিড-১৯ এর কারণে ক্রিকেট থমকে যাওয়ার আগে শেষ ম্যাচ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে, সিডনিতে দর্শকবিহীন মাঠে। তবে এর পরপরই আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া মিলিয়ে সব ধরনের ক্রিকেটই বন্ধ এখন। স্থগিত হচ্ছে একের পর এক আন্তর্জাতিক সিরিজ, ঘরোয়া সূচিও। 

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার এটি প্রথম ধাপ বলে জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সাওনি, “চলমান বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাব বিশ্লেষণের মাধ্যমে এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সমন্বিত প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হবে এই মিটিং। আমাদের তথ্য আদান-প্রদান করতে হবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে কী করা যায় তা নিয়ে প্রগাঢ় বোঝাপড়ার ব্যাপার আছে।”

    “এ ব্যাপারটা মোটেই অবহেলার মতো বিষয় নয়। আমাদের অনেক বিষয় ভাবতে হবে- স্বাস্থ্যখাতের অবস্থার কখন উন্নতি হবে, কখন আমাদের ক্রিকেটার, চাকরীজীবী, আমাদের সমর্থকরা কখন নিরাপদ হবে (নিজেদের কাজ করতে) জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব না ফেলে। দেশগুলি বিভিন্ন পর্যায়ে খুলে যাবে, বিভিন্ন উপায়ে খুলে যাবে। আমাদের সেসবের প্রতি সম্মান থাকতে হবে। সবাই যাতে করে দৃঢ় তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ব্যাপারটা দেখতে পারি, যাতে করে ঝুঁকি যতটা সম্ভব কমে আসে।” 

    কভিড-১৯ এর কারণে দ্বিপক্ষীয় সূচি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বিভিন্ন বোর্ড। বিশেষ করা ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলি, যাতের পুরো মৌসুমই স্থগিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এরই মাঝে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি সিরিজ স্থগিত হয়েছে, পরের বছর এর ফাইনাল বলে সেসব নিয়েও সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। 

    আইসিসি ইভেন্টের ব্যাপারে সাওনি বলেছেন, “আইসিসি মেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ আইসিসি ইভেন্টের ক্ষেত্রে আমরা বিশেষজ্ঞ ও কর্তৃপক্ষ থেকে পরামর্শ নেব, অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছ থেকেও। আমাদের কাছে যা তথ্য ও ডাটা আছে, সবই ব্যবহার করা হবে। যাতে করে সব প্রতিযোগিতায় আমরা একটা উপযুক্ত সময়ে করতে পারি, যেটা আমাদের খেলার জন্য সবচেয়ে ভাল হবে।”