বলে থুতু, লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
থুতু বা লালা ব্যবহার করে বলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ‘নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। কভিড-১৯ মহামারির পর সে দেশে খেলা ফেরার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টের তৈরি করা ফ্রেমওয়ার্কে আছে এমন নির্দেশনা।
তিনটি ধাপে খেলাধুলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্পোর্টিং বডির সঙ্গে মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা মিলে তৈরি করেছেন এ গাইডলাইন। সেখানে তিনটি ধাপ আছে- লেভেল ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’।
লেভেল ‘এ’-তে নির্দিষ্ট ধরনের ব্যক্তি ছাড়া অনুশীলনের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আছে, তবে শীঘ্রই তারা এর পরের লেভেল ‘বি’-তে যাবেন। যেটি এখন থেকে মোটামুটি সপ্তাহখানেকের ভেতর কার্যকর হবে। সেখানে বলা আছে, ‘নেট অনুশীলনের ক্ষেত্রে বোলারের সংখ্যা কমিয়ে আনা’। ফিল্ডিং সেশনে বাধা নেই। অপ্রয়োজনীয় সংস্পর্শের কোনও ওয়ার্ম আপ ড্রিল থাকবে না। অনুশীলনে ক্রিকেট বলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে থুতু বা লালার ব্যবহার থাকবে না।”
লেভেল ‘সি’-তে পুরো অনুশীলন এবং প্রতিযোগিতার কথা বলে উল্লেখ করা আছে, ‘অনুশীলনে বলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে থুতু বা লালা ব্যবহার করা যাবে না।’
এর আগে কভিড-১৯ এর ট্রান্সমিশনের কথা ভেবে ক্রিকেট বলে থুতু-লালা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞার কথা বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও সাবেক পেসাররা এই ব্যাপারটি নিয়ে ঠিক পক্ষে মত দেননি এখন পর্যন্ত।
এদিকে কভিড-১৯ মহামারির পর ধাপে ধাপে খেলাধুলা ফেরাতে চায় অস্ট্রেলিয়া, শুরুতে ফিরতে পারে রাগবি লিগ। ২৮ মে এ লিগ চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। আর ব্যক্তিগত সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার খেলা বলে ক্রিকেটকে আগেই ফেরানো হতে পারে, উত্তরের রাজ্যগুলি এক্ষেত্রে খেলার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করে দেওয়া হতে পারে।
জুনে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা থাকা অস্ট্রেলিয়ার পরের সিরিজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। কভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়ে গেছে তাদের।
আপাতত এআইসের তৈরি করা গাইডলাইনে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য কার্যকর হবে বলে করা হচ্ছে, “এই ডকুমেন্টের মূলনীতিগুলি পেশাদার পর্যায়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ের জন্য তৈরি করা। এই ফ্রেমওয়ার্ক একটা সতর্ক এবং পদ্ধতিগত উপায়ে কীভাবে খেলা পুনরায় চালু করা যায়, কীভাবে অ্যাথলেট এবং সবার সামষ্টিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, সেটির জন্য সময়োপযোগী একটা উপায়। কবে খেলাধুলা ফিরবে, সেটি কেন্দ্রীয়, রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক করা যাবে। এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাওয়া উচিৎ জনগণের স্বাস্থ্যগত ব্যাপার, (কভিড-১৯) এর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রোধ করা।”