• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    বল-টেম্পারিং ও এলবিডব্লিউর নিয়মে পরিবর্তন চান ইয়ান চ্যাপেল

    বল-টেম্পারিং ও এলবিডব্লিউর নিয়মে পরিবর্তন চান ইয়ান চ্যাপেল    

    ক্রিকেটে বল-টেম্পারিং ও এলবিডব্লিউর নিয়মে পরিবর্তন চান সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল। কভিড-১৯ এর কারণে থমকে যাওয়া সময় ক্রিকেটের জন্য এসব নিয়ম ভেবে দেখার জন্য আদর্শ বলে মত তার। 

    আবারও ক্রিকেট শুরু হলে বলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে থুতু বা লালার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা চলছে, এর বদলে কৃত্রিম কিছুও ব্যবহারের নিয়ম করা হতে পারে। চ্যাপেল বলছেন, বল-টেম্পারিংয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বস্তুর তালিকা দিক অধিনায়করা, এর থেকে আইসিসি বেছে নেবে একটি। 

    ক্রিকইনফোর এক কলামে চ্যাপেল মত দিয়েছেন, “যেহেতু বল-টেম্পারিং সবসময়ই হট টপিক, অতীতেও আমি পরামর্শ দিয়েছি, প্রশাসন যাতে অধিনায়কদের একটা তালিকা করতে বলে। সে তালিকায় বোলাররা সুইংয়ের জন্য কী সহায়তা করতে পারে বলে মনে করে, সেটি বৈধ রেখে বাকিগুলিকে অবৈধ ঘোষণা করা হোক।

    “ক্রিকেট যেহেতু স্থবির এখন, এর চর্চা করার উপযুক্ত সময় এখনই। লালা বা থুতু ব্যবহার এখন স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, ফলে বল শাইন করার ক্ষেত্রে চিরায়ত নিয়মের বাইরে কিছু প্রয়োজন বোলারদের। 

    বল-টেম্পারিংয়ের সঙ্গে এলবিডব্লিউর নিয়মেরও পরিবর্তন চান চ্যাপেল। তার মতে, স্রেফ আম্পায়ারের মতে কোনও বল ব্যাটসম্যানের প্যাডে লাগলে সেটি স্টাম্পে লাগত কিনা-- তার ওপরই নির্ভর করা উচিৎ ক্রিকেটের এই আউট। সেক্ষেত্রে বল কোথায় পড়ল, স্টাম্পের লাইনে প্যাডে আঘাত করলো কিনা, সেটা বিবেচনায় আনার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি। 

    “অবশ্যই ব্যাটসম্যানরা শিউরে উঠবে- তবে এর ফলে এই খেলায় অনেক ইতিবাচক ব্যাপার আসবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি হবে-- স্বচ্ছতা। যদি বোলার স্টাম্পে আক্রমণ করতে প্রস্তুত থাকে নিয়মিতভাবে, তাহলে ব্যাটসম্যানের স্টাম্প রক্ষার জন্য অস্ত্র শুধু ব্যাটই হওয়া উচিত। প্যাড ব্যাটসম্যানদের চোট থেকে বাঁচাতে থাকে, আউট হওয়া থেকে বাঁচাতে নয়।” 

    “ডানহাতি ব্যাটসম্যানের লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচের রাফে কোনও রিস্টস্পিনারের বলের বিপক্ষে লড়াইয়ে তখন আক্রমণাত্মক হতে হবে তাকে”, মত দিয়েছেন চ্যাপেল। 

    সব মিলিয়ে ব্যাট-বলের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে এসব নিয়মের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি, “ক্রিকেটের কর্তাব্যক্তিদের প্রাধান্য পাওয়া উচিত কীভাবে ব্যাট বলের মাঝে একতা ভারসাম্য থাকবে। এসব আইনের পরিবর্তন যে কোনও ভারসাম্যহীনতা দূর করবে, এবং বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটকে আরও বিনোদনদায়ী করে তুলবে।”