দুই মাস 'হোটেলবন্দী' থাকার পর মুক্তি মিলল আবাহনী কোচের
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর থেকে হোটেলেই ছিলেন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস। এর ভেতর বিদেশী খেলোয়াড়, কোচসহ অনেকেই দেশ ছাড়লেও সুযোগটা মিলছিল না তার। প্রায় দুই মাস হোটেলের একমাত্র অতিথি হিসেবে কাটিয়ে দিয়ে অবশেষে পরিবারের কাছে যাওয়ার সুযোগ মিলেছে লেমোসের।
পর্তুগিজ কোচ অবশ্য পর্তুগালে ফিরছেন না, যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় কোরিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে উড়াল দিচ্ছেন তিনি। লেমোসের স্ত্রী ও সন্তান থাকেন সে দেশেই। স্ত্রীর প্রচেষ্টাতে পরিবারের কাছে ফেরার সুযোগ হয়েছে বলে প্যাভিলিয়নকে জানিয়েছেন লেমোস, "ঢাকায় কোরিয়ান সোসাইটির সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার স্ত্রীই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে। অবশ্য এই খবরটি জানতে পেরেছি হুট করেই।"
আরও পড়ুন : আমাকে ভূতের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই । মারিও লেমোসের কোয়ারেন্টিন ডায়েরি
বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ ম্যাচ হয়েছে মার্চের ১৬ তারিখ। ওই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছিল লেমোসের আবাহনী। তবে লিগ আবার কবে শুরু হবে, আদৌ শুরু হবে কী না- সেটি নিয়ে সংশয় ছিল শুরু থেকেই। তবে লেমোস এতোদিন 'আটকা' পড়েছিলেন ফ্লাইট না থাকায়। এই দুই মাসে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন পর্তুগিজ কোচ।
তবে বহুদিন হোটেলে শেফ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে এক জায়গা থাকার পর বাংলাদেশ ছাড়তে কিছুটা খারাপ লাগছে তার, "হোটেলের যে কয়জন ছিল তাদের বিদায় দিতে একটু খারাপই লাগল। তবে যেতে তো হবেই। ওখানে আমার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রায় ৬ মাস হলো দেখা হয় না।"
এর আগে গত সপ্তাহে আবাহনী ডিফেন্ডার আলাদিন নাসের ইসাও বাংলাদেশ ছেড়ে নিজ দেশ মিশরে ফিরে গেছেন। তবে হাইতি ফরোয়ার্ড কেরভেন্স বেলফোর্ট, নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবারা এখনও রয়েছেন বাংলাদেশেই।