লকডাউনের পর বোলারদের অনুশীলনের সময়সীমার গাইডলাইন দিল আইসিসি
একটা নির্দিষ্ট সময় বিরতির পর খেলায় ফিরলে বোলাররা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকেন বলে তাদের অনুশীলনের ক্ষেত্রে ‘সময়সীমা’ বেঁধে দিয়েছে আইসিসি। কভিড-১৯ মহামারির পর মাঠে ক্রিকেট ফিরলে আইসিসির প্রস্তুতকৃত গাইডলাইনে বোলারদের জন্য তিন ফরম্যাটে আলাদা সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেট ফিরলে ঠাসা সূচি থাকতে পারে বলে দলগুলিকে ‘বিস্তৃত পরিসরের স্কোয়াড’ বিবেচনা করতে বলেছে আইসিসি।
বোলিংয়ের ‘লোড’ নিতে ‘বয়স এবং শারীরিক প্রস্তুতিকে’ মূল বলে মনে করছে আইসিসি। তাদের গাইডলাইনে তিন ফরম্যাটের বোলারদের জন্য অনুশীলনের সময়সীমা এমন-
- টেস্ট : ৮-১২ সপ্তাহ
- ওয়ানডে : ৬ সপ্তাহ
- টি-টোয়েন্টি : ৫-৬ সপ্তাহ
“অনিবার্য বিরতির পর খেলায় ফেরার ক্ষেত্রে বোলাররা চোটের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। সময়সীমার দিকে তাকিয়ে বয়স এবং শারীরিক প্রস্তুতি বিবেচনায় আনতে হবে, কারণ এসব ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়ে ফিরতে সময়সীমার দিকে খেয়াল রাখতে হবে”, ‘আইসিসি ব্যাক টু ক্রিকেট’ নামের গাইডলাইনে বলা হয়েছে এসব।
“দীর্ঘ সময় যেমন ১২০০ ওভারের বেশি ওয়ার্কলোড ২৪ বছরের বেশি বয়সী বোলারদের ক্ষেত্রে স্ট্রেস-ফ্র্যাকচারের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও এমন লকডাউনের কন্ডিশনের ক্ষেত্রে এসব পরীক্ষা করে দেখা হয়নি, তবে গবেষণা বলে ৭ সপ্তাহের বেশি অনুশীলন বা খেলার বাইরে থাকলে মেরুদন্ডে ২ শতাংশ হাড় কমে যায়। এবং এসব হাড় নতুন করে গজাতে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে।”
আইসিসির মতে, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফিরতে শেষ ৩ সপ্তাহ ম্যাচ কন্ডিশনে বোলিংসহ কমপক্ষে ৫-৬ সপ্তাহের অনুশীলন, ওয়ানডের ক্ষেত্রে শেষ ৩ সপ্তাহ ম্যাচ কন্ডিশনে বোলিংসহ কমপক্ষে ৬ সপ্তাহের অনুশীলন এবং টেস্ট ম্যাচের ক্ষেত্রে শেষ ৪-৫ সপ্তাহ ম্যাচ কন্ডিশনে বোলিংসহত কমপক্ষে ৮-১২ সপ্তাহের অনুশীলন করতে বলা হয়েছে বোলারদের।
এসব ক্ষেত্রে বোলারদের বয়স, চোটের অতীত, বোলিং টেকনিক এবং গতিসহ ক্যারিয়ারে বোলিংয়ের পরিমাণ বিবেচনায় আনতে হবে।
এরি মাঝে ইংল্যান্ড তাদের ১৮ জন বোলারকে ব্যক্তিগত অনুশীলনে ফিরিয়েছে বৃহস্পতিবার। জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ টেস্টের সিরিজ শুরু হওয়ার কথা আছে তাদের। তিন দিনের বিরতি দিয়ে ‘বায়ো-সিকিউর’ পরিবেশের ভেন্যুতে টানা তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে দুই দলের।