করোনাভাইরাসের বিরতির কারণে ক্যারিয়ার আরেকটু লম্বা করতে পারেন অ্যান্ডারসন
কভিড-১৯ মহামারির কারণে নিজের ক্যারিয়ারে বাড়তি ১-২ বছর যোগ হতে পারে বলে মনে করেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৩৮ বছর ছুঁই ছুঁই ইংল্যান্ড পেসার নিশ্চিতভাবেই ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে, অনাকাঙ্খিত বিরতির কারণে নিজের ক্যারিয়ার আরেকটু লম্বা দেখতে পাচ্ছেন তিনি।
এ বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে পাঁজরের চোট নিয়ে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। এর আগে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ৪ ওভার বোলিংয়ের পরই উঠে গিয়েছিলেন পায়ের চোটে। তবে শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা সফরের দলে ছিলেন না তিনি। এর আগে ১ বছরে ইংল্যান্ডের ১২ টেস্টের মাত্র ৩টিতে খেলেছিলেন তিনি।
অ্যান্ডারসন আপাতত ডাক পেয়েছেন ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার মিশনের প্রথম ধাপে, যেখানে ৫৫ জন ক্রিকেটারকে অনুশীলনে ডাকা হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮ জুলাই টেস্ট দিয়ে নিজেদের ঘরোয়া গ্রীষ্মের আন্তর্জাতিক মৌসুম শুরু করতে পারে ইংল্যান্ড।
ল্যাঙ্কাশায়ার পেসার মনে করেন, এই অনাকাঙ্খিত বিরতি তার ক্যারিয়ারকে একটু লম্বা করতে পারে, “ক্যারিয়ারের শেষের দিকে এক বা দুই বছর যোগ করতে পারে এই বিরতি”, বলেছেন তিনি। আপাতত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একা একা অনুশীলন করছেন তিনি নিজ কাউন্টির মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে।
আশেপাশে কেউ না থাকলেও ক্রিকেটে ফিরতে পারাটাই স্বস্তির মনে হচ্ছে তার, “ফিরে আসাটা উপভোগ করছি আসলে। আশেপাশে খুব বেশি মানুষ নেই, এমন একটা অবস্থায় নেটে বোলিং করছি- ব্যাপারটা একটু আজব। তবে ক্রিকেটে ফিরতে পারাটাই দারুণ।”
টেইলএন্ডার নামের পডকাস্টে অ্যান্ডারসন বলেছেন, নিজের বল নিজেই আনছেন তিনি, “আমার কিট নিজেই আনি আমি। এবং আমার নিজস্ব ক্রিকেট বল আছে এখন, যেটা সাধারণত থাকে না।”
“মাঠে গিয়ে দ্রুত একটা চক্কর দেই, এরপর সোজা নেটে। কয়েক ওভার বোলিং করি, এরপর সরাসরি নিজের গাড়িতে করে বাসায়। আমার দ্রুত ছন্দে ফিরতে হবে। পুরো রান-আপে বোলিং করছি, এবং আমার মনে হয় খেলার জন্য প্রস্তুত আমি। একটু শান্ত থাকতে হবে এখন, এই যা”, বলেছেন ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বোলার, টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল পেসার।
মাঠে ক্রিকেট ফিরলেও দর্শকশূন্য অবস্থাতেই হবে ম্যাচ। সেক্ষেত্রে সতীর্থ জফরা আর্চারের মতো অ্যান্ডারসনও মনে করেন, মাঠে কৃত্রিম শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে, “অস্ট্রেলিয়ার রাগবি লিগ দেখছি আমি। এবং আমার মনে হচ্ছিল মাঠে আসলেই দর্শক আছে। কারণ স্টেডিয়ামে স্পিকারে দর্শকের আওয়াজ বাজানো হচ্ছিল। আমার মনে হয় এটি কাজে দিচ্ছে। কেউ না থাকলেও এমন পরিবেশ পেলে খারাপ হয় না।”