• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    মুশফিকদের মিরপুরে অনুশীলনের অনুরোধে বিসিবির 'না'

    মুশফিকদের মিরপুরে অনুশীলনের অনুরোধে বিসিবির 'না'    

    স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ক্রিকেটারদের স্টেডিয়ামে অনুশীলনের অনুরোধ নাকচ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশে গত ৩১ মে আনুষ্ঠানিকভাবে 'সাধারণ ছুটি' উঠে যাওয়ার পর মুশফিকুর রহিমসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার অনুমতি চেয়েছিলেন বিসিবির কাছে। তবে এখনও স্টেডিয়াম জীবাণুমুক্ত না করায় বিসিবি আপাতত সেখানে অনুশীলনের অনুমতি দিচ্ছে না তাদের।

    ক্রিকবাজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ক্রিকেটারদের অনুরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী, “মুশফিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন শুরুর ব্যাপারে। তবে আমরা তাকে জানিয়েছি যে, এখন স্টেডিয়ামে অনুশীলন করাটা নিরাপদ নয়, তাকে বাসাতেই অনুশীলন করতে হবে। অনুশীলন অবশ্যই জরুরী, তবে তার চেয়েও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মুশফিক ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিল আমাদের, সবাইকে একই জবাব দেওয়া হয়েছে। আমরা স্টেডিয়াম জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়ায় আছি, তবে সেটি এখনও শেষ হয়নি।”
     


    দেশের ক্রিকেট কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার ক্ষেত্রে কোনও তাড়াহুড়োর পক্ষপাতী নন বিসিবির প্রধান নির্বাহী, “আমাদের সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে। তাড়াহুড়ো করা যাবে না। অনেক দেশে কাজকর্ম স্বাভাবিক হচ্ছে, আমাদের দেশেও হবে। তবে এখনই দিনক্ষণ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ঈদের পর অনুশীলন শুরুর জন্য বিভিন্ন জায়গা জীবাণুমুক্ত করা দরকার, সেসব নিয়ে কাজ হচ্ছে এখন। এরপর পর্যায়ক্রমে ক্রিকেট শুরুর বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে।”

    গত ২২ মে আইসিসির পক্ষ থেকে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট আবারও শুরুর জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেটিকে আমলে নিয়ে বিসিবি নিজেদের পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তবে সেই নির্দেশনা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকারী সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে বলে মত তার, “আইসিসির নির্দেশনাতেই লেখা আছে যে, নির্দিষ্ট দেশের সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাইডলাইন প্রয়োগ করতে হবে। অনুশীলনের বেশকিছু মডিউল বানানো আছে, যেমন একটি হচ্ছে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলনের জন্য, আরেকটি গ্রুপ অনুশীলনের জন্য। আর এই দুটি বাদে অন্য একটি রয়েছে যেটি শুধুই বোলারদের জন্য, মূলত পেস বোলারদের নিয়ে সেটি করা হয়, তবে স্পিনারদেরও সেটিতে যুক্ত করা হবে।”

    এদিকে বাংলাদেশ সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে ৩ টি জোনে বিভক্ত করার কথা বলেছে। করোনার ঝুঁকি বিচার করে দেশের অঞ্চলগুলোকে লাল, সবুজ এবং হলুদ এই ৩ টি জোনে ভাগ করা হবে। এর মাঝে সবচেয়ে বিপজ্জনক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হবে লাল জোনে থাকা এলাকাগুলো। আর পর্যায়ক্রমে লাল এবং হলুদ অঞ্চলগুলোকে সবুজ জোনের মতো নিরাপদ বানানো হবে। 

    আর বিসিবির অনুশীলন কার্যক্রমের পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য এই জোনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন দেবাশীষ, “প্রথমে আমাদের জোনগুলোর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। কারণ এমন হতে পারে যে, আমরা একটি স্থান নির্দিষ্ট করলাম অনুশীলনের জন্য পরে দেখা গেল জায়গাটির অবস্থান লাল জোনে।” আর শের-এ-বাংলা স্টেডিয়াম যেখানে অবস্থিত সেই মিরপুরে সংক্রমণের হার বেশি থাকায় জায়গাটি লাল জোনে পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।