• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    টেস্টে স্পিনারদের ফিরিয়ে আনা হোক, চাওয়া কুম্বলের

    টেস্টে স্পিনারদের ফিরিয়ে আনা হোক, চাওয়া কুম্বলের    

    ক্রিকেটে বল মসৃণ করতে থুতু-লালা ব্যবহার নিষিদ্ধের প্রস্তাব নিয়ে বিভক্ত ক্রিকেট অঙ্গন। নতুন নিয়মটি বোলারদের জন্য ক্ষতিকর সাব্যস্ত হতে পারে বলে মত সংশ্লিষ্ট অনেকের, ব্যাট-বলের ভারসাম্য আরও একদিকে ঝুঁকে পড়বে বলেও মনে করেন তারা। তবে সাবেক ভারতীয় লেগস্পিনার এবং আইসিসির ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলের মতে, পিচের ব্যবহার সঠিকভাবে করতে পারলে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে বোলিং। এক্ষেত্রে টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে স্পিনবান্ধব উইকেট তৈরি করে দলে অন্তত দুজন স্পিনার খেলানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

    ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) এক ওয়েব সেমিনারে ক্রিকেট পিচের ব্যবহার নিয়ে নিজের মত জানান টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক কুম্বলে, “অন্যান্য খেলার চেয়ে ক্রিকেট একদিকে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। এখানে আপনি পিচের বিভিন্ন বিষয় সুবিধামতো বদলে নিতে পারেন। আর পিচের এমন ব্যবহারের মাধ্যমে বল এবং ব্যাটের মাঝে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে একটি সমান অবস্থান তৈরি করা যায়।”
     


    বল মসৃণ করতে থুতু-লালা ব্যবহার নিষিদ্ধের প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আইসিসির ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান কুম্বলে বলেন, “চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি যে, থুতু-লালার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই আমরা ক্রিকেটে এগুলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছি। তবে এটি ক্রিকেটারদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস, তাই এটি বদলানো বেশ কঠিন হবে।”

    এছাড়া পেস বোলিংয়ের ওপর নির্ভর করা দেশগুলোকে দলে বেশি স্পিনার খেলানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিশেষভাবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোকে টেস্ট দলে স্পিনারদের অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি, “উইকেটে কিছুটা ঘাস রেখে বা ছেঁটে ফেলে আপনি দলে দুজন স্পিনার খেলাতে পারেন। টেস্টে স্পিনারদের ফিরিয়ে আনা উচিৎ। কারণ ওয়ানডে অথবা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বল মসৃণ করা নিয়ে এমনিতেও খুব বেশি ভাবতে হয় না। ঘাম দিয়েই তখন কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়।”

    “আমি টেস্টের কথা বলছি। টেস্টে দুজন স্পিনার খেলাতে সমস্যা কোথায়? ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া দলে দুজন করে স্পিনার খেলানো হোক। আর মূল কথা হচ্ছে, এখন আমরা আসলে ক্রিকেট খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। থুতু-লাল, ঘাম অথবা বলের কন্ডিশন, এগুলো সবই এখন গৌণ বিষয়।”