অতীতের যাদের বিপক্ষে বোলিং করতে ভালবাসতেন রাবাদা
আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিলেন, এখন অবশ্য নেমে গেছেন ৫ নম্বরে। ওয়ানডের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ক্ষীপ্র উদযাপনের জেরে নিষেধাজ্ঞার কবলেও পড়েছিলেন। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা পেসার তিনি, সেটা নিয়ে সংশয় থাকার কথা নয়। কাগিসো রাবাদার সঙ্গে অতীতের কোন বোলারের লড়াইটা দেখতে চাইতেন আপনি?
রাবাদা যাদের বিপক্ষে ‘বোলিং করতে চাইতেন’, সে তালিকা দিয়েছেন নিজেই। শচীন টেন্ডুলকার থেকে ভিভিয়ান রিচার্ডস-- তালিকাটা যে কোনো বোলারকে একটু নার্ভাস করে দিতে পারে, “আমার মনে হয় কেভিন পিটারসেন, শচীন টেন্ডুলকার, ভিভিয়ান রিচার্ডস, রিকি পন্টিংদের মতো ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করতে ভাল লাগতো আমার।”
আইপিএলে নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে আলাপের সময় এমন বলেছেন রাবাদা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এ সময় দিল্লির হয়ে আইপিএল খেলার কথা ছিল তার, মুখিয়েও ছিলেন, “আমি মার্চে আইপিএলের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কুঁচকিতে চোট ছিল, তবে দ্রুতই সেরে উঠেছিলাম। আমার বিশ্বাস, আইপিএল ঠিক সময়ে শুরু হলে আমি খেলতে পারতাম।”
“আমি খেলতে মুখিয়ে ছিলাম, বিশেষ করে গতবারের পারফরম্যান্সের পর। অন্য যে কোনও মৌসুমের তুলনায় গত মৌসুম আমি অনেক বেশি উপভোগ করেছি।”
গত মৌসুমে প্লে-অফে গিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালাইফায়ারে হেরে বিদায় নিয়েছিল দিল্লি। ১২ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট-সংগ্রাহক ছিলেন রাবাদা, শীর্ষে থাকা ইমরান তাহির ১৭ ম্যাচে নিয়েছিলেন ২৬টি উইকেট।
অবশ্য কভিড-১৯ মহামারিতে এখনও অনুশীলনে ফিরতে পারেননি রাবাদা। তবে এই অনাকাঙ্খিত বিরতিতে খুশিই হয়েছেন তিনি, “আপাতত পেশাদার অ্যাথলেটরা দক্ষিণ আফ্রিকায় জিম ব্যবহার করতে পারছে, ফলে নিজেকে সচল রাখতে পারছি। তবে একইসঙ্গে টানা পাঁচ বছর পর ক্রিকেট থেকে এতো লম্বা বিরতি পেয়ে ভালই লাগছে। আমি এটাকে বেশ স্বস্তির ব্যাপার হিসেবেই দেখছি।”
তবে ক্রিকেটে ফিরলে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলার ব্যাপারটিকে অদ্ভুত মনে হচ্ছে রাবাদার। তবে লোকে টিভিতে দেখতে পারবে বলে প্রতিদ্বন্দ্বীতার ঝাঁঝটা থাকবে বলেই মনে করেন তিনি।