ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলছে 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন অবাস্তব বা খুব, খুব কঠিন'
এ বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করাকে ‘অবাস্তব বা খুব, খুব কঠিন’ বলছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস। কভিড-১৯ মহামারিতে ১৬ দলকে নিয়ে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনকে ঘিরে বেশ কিছু বিকল্প পরিকল্পনার কথা ভাবছেন তারা আইসিসির সঙ্গে।
মার্চে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের একটি ওয়ানডে দর্শকশূন্য মাঠে হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসনে গেছে। জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ডের তিন টেস্টের সিরিজ দিয়ে সেটি ফিরছে আবার, যেটি হবে দুটি ‘বায়ো-সিকিউর’ ভেন্যুতে। এরই মাঝে সামনের গ্রীষ্মের ঘরোয়া আন্তর্জাতিক সূচিও ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া।
তবে ১৫ দলকে আতিথেয়তা দিয়ে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাবনা তেমন জোরালো হয়নি এখনও। আইসিসি অবশ্য এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। কয়েকদফা আলোচনা পেছানোর পর তারা জানিয়েছে, জুলাই পর্যন্ত বিকল্প ব্যবস্থা ভেবে দেখবে তারা।
সেক্ষেত্রে এ টুর্নামেন্ট ১২ মাস পিছিয়ে যেতে পারে, এমন সম্ভাবনাও আছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে আলোচনায় আছে সামনের বছরের শুরুর দিকে নিউজিল্যান্ডের হতে যাওয়া উইমেনস বিশ্বকাপও, যে টুর্নামেন্টের বাছাইপর্ব এরই মাঝে স্থগিত হয়ে গেছে। কভিড-১৯ মহামারিতে স্থগিত হয়ে গেছে টোকিও অলিম্পিক, ইউরো ফুটবলের মতো আসরও।
এডিংস বলছেন, আইসিসির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা, “যেরকম বলেছি, আইসিসির সঙ্গে মিটিং চলছে আমাদের। এই মুহুর্তে এটিকে ‘মুভিং ফিস্ট’ (অন্যকিছুর ওপর নির্ভরশীল উৎসব) বলা যায়। তবে আমি এটির খুব বেশি সম্ভাবনা দেখি না, যদিও এ বছর এ টুর্নামেন্টকে এখনও বাতিল বা স্থগিত ঘোষণা করা হয়নি।
“তবে কভিড-১৯ এ বেশিরভাগ দেশই যখন ধুঁকছে, তখন ১৬ দলকে এমন বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ায় আনা আমার মনে হয় অবাস্তব অথবা খুব, খুব কঠিন। আমরা বেশ কিছু বিকল্প ব্যবস্থা সামনে এনেছি, আইসিসির সঙ্গে সেসব নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।”
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনকে বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলেছিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস।