• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    ল্যাঙ্গারের কাছে যে কাজ 'ওয়ালশ-অ্যামব্রোসকে হেলমেট-গার্ড ছাড়া মুখোমুখি' হওয়ার মতো কঠিন

    ল্যাঙ্গারের কাছে যে কাজ 'ওয়ালশ-অ্যামব্রোসকে হেলমেট-গার্ড ছাড়া মুখোমুখি' হওয়ার মতো কঠিন    

    গ্রায়েম হিককে চলে যাওয়ার খবরটি দেওয়া “হেলমেট ও গার্ড ছাড়াই কার্টলি অ্যামব্রোস ও কোর্টনি ওয়ালশের মুখোমুখি হওয়ার মতো” কঠিন ছিল বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। কভিড-১৯ সঙ্কটে ৪০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার বাঁচাতে ছাঁটাই চলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায়, সেই কোপ পড়েছে দীর্ঘদিনের ব্যাটিং কোচ হিকের চাকরিতেও। যে ৪০ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে, হিকও আছেন তাদের মাঝে। 

    ২০১৩ সাল থেকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চাকরি করেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে ৬৫টি টেস্ট খেলা হিক। সে বছর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের হাই পারফরম্যান্স কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। 

    সামনের সফরগুলিতে দলের সঙ্গে নির্বাচক থাকবেন না, এমন পরিকল্পনাও করছে অস্ট্রেলিয়া। কভিড-১৯ সঙ্কট তৈরি হওয়ার সময় হিক অবশ্য সদ্য বিদায়ী ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টসকে তাদের অর্থ-পরিকল্পনা নিয়ে ‘প্রশ্ন’ করেছিলেন। ছাঁটাই করা স্টাফরা তাদের বেতনের মাত্র ২০ শতাংশ নিয়ে বিদায় নিচ্ছেন, তবে বোর্ডের নির্বাহীদের জন্য বেতনের প্রায় ৮০ শতাংশ বহাল ছিল। এরকম প্রশ্ন তোলা অবশ্য হিকের বিদায় নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেনি বলেই দাবি ল্যাঙ্গারের।
     


    ২০১৩ সাল থেকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কাজ করছিলেন হিক


    “এমন নয় যে সে কিছু করেছে, এটা কভিড পরিস্থিতির একটা প্রভাব মাত্র, যেখানে আমরা খরচ কমাচ্ছি”, বলেছেন ল্যাঙ্গার। 

    “সে অসাধারণ একজন মানুষ, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। গ্রায়েম হিকের মতো সৎ মানুষ আপনি পাবেন না আর। তার নীতি-নৈতিকতা অবিশ্বাস্য, খেলা নিয়ে তার জ্ঞান অবিশ্বাস্য। এ সিদ্ধান্তটা আসলেই কঠিন ছিল।” 

    রবার্টসকে চলে যেতে দেখাটাও কষ্টের বলে মনে হয়েছে ল্যাঙ্গারের, “সেদিন রবার্টসকে চলে যেতে দেখাটাও কঠিন ছিল। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, ফলে মানবিক দিকগুলিই সামনে এসেছে। শুধু হিকি বা কেভের ক্ষেত্রে নয়, অন্য যাদেরকে ছাঁটাই করা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও। সত্যি, অনেক কঠিন একটা দিন।”

    অবশ্য বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া দলের মেন্টর হিসেবে কাজ করা সাবেক দুই অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ ও রিকি পন্টিং, এবং পরবর্তীতে টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গে কাজ করা মাইক হাসির ব্যাপারে নিশ্চিত না হলেও আশাবাদি তিনি, “ভবিষ্যতে এসব কীভাবে হবে, সেটা নিয়ে আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ এটি গুরুত্বপূর্ণ।” 

    সাপোর্ট স্টাফ ছাঁটাইয়ের সঙ্গে ‘এ’ দল এবং দ্বিতীয় একাদশের ম্যাচ বাতিল ক্লাব ক্রিকেটারদের নতুন সুযোগ করে দেবে বলেও মনে করেন তিনি। এ বছরের শেষের দিকে সীমিত ওভারের সিরিজের জন্য ইংল্যান্ড সফর নিয়েও আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ।