• দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফর
  • " />

     

    দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা ক্রিকেটার ডি কক, ভলভার্ডট

    দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা ক্রিকেটার ডি কক, ভলভার্ডট    

    দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন সীমিত ওভারের অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক। সঙ্গে টেস্টের বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনি। তার মতো দুটি পুরস্কার জিতেছেন লরা ভলভার্ডট, মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সঙ্গে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারও। শনিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে ২০১৯-২০ মৌসুমের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা পুরস্কার- 'ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা প্রফেশনাল অ্যাওয়ার্ডস'।

    বিশ্বকাপ, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ হার-- মৌসুমটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সুবিধার ছিল না খুব একটা। তবে অন্যদের চেয়ে  ডি ককের পারফরম্যান্স ছিল বেশ উজ্জ্বল। টেস্টে ৪ ফিফটিতে ৫৩৬ রান করেছেন এ মৌসুমে, সঙ্গে আছে ২৫টি ক্যাচ ও ২টি স্টাম্পিং। এ সময়ে ডি ককের চেয়ে টেস্টে বেশি রান করেছেন শুধু ডিন এলগার। ওয়ানডেতে ৩৮.০৭ গড়ে ৫৩৩ রানের সঙ্গে ১৫টি ক্যাচ ও ১টি স্টাম্পিং আছে ডি ককের। ২০১৭ সালের পর আবারও দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা ক্রিকেটার হলেন ২৭ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার। 

    “কুইনি টেস্টে ক্রিকেটে শীর্ষ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান, আসলে লাল ও সাদা বলের জন্য সে শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের একজন। অসাধারণ একজন নেতা হিসেবেও এগিয়ে আসছে সে”, ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী ডক্টর জ্যাকস ফাউল বলেছেন ডি কককে নিয়ে।
     


    ডি ককের মতো দুটি পুরস্কার জিতেছেন লরা ভলভার্ডট/ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা


    ভলভার্ডট দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরের বছরের বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে সহায়তা করেছেন, মৌসুমে ৫৪.৫৭ গড়ে করেছেন ৩৮২ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা ২ ফিফটির পর ভারতের বিপক্ষে আরেকটি ফিফটি, সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ২১ বছর বয়সী ভলভার্ডট। 

    টেস্টে ডি ককের সঙ্গে মনোনীত হয়েছিলেন আনরিখ নরকিয়া ও কাগিসো রাবাদা। ওয়ানডেতেও হেইনরিখ ক্লাসেন ও লুঙ্গি এনগিডির সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ডি কক, তবে পুরস্কার গেছে এনগিডির কাছে। ৮ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার, ২১.২৬ গড়ে, ৫৮ রানে ৬ উইকেটের সেরা ফিগারসহ। এনগিডির পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতে ছেলেদের বর্ষসেরাও হয়েছেন এই পেসার। সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে মেয়েদের পুরস্কার জিতেছেন আরেক পেসার শবনিম ইসমাইল। 

    নরকিয়া জিতেছেন বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার, মেয়েদের ক্ষেত্রে যেটি পেয়েছেন ননকুলুলেকো এমবালা। সমর্থকদের চোখে সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন ডেভিড মিলার, ক্রিকেটারদের চোখে এই পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে ডি কক ও ভলভার্ডট। 

    এছাড়াও এমজানসি সুপার লিগের জন্য সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন স্পিনার তাবরাইজ শামসি, জানেমান মালান হয়েছেন সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার। বর্ষসেরা আম্পায়ার হয়েছেন আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক। অ-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন তিনি।