শিশুদের নিয়ে অবদানের জন্য 'ডক্টরেট ডিগ্রি' পেলেন রাশফোর্ড
সাধারণত এই সম্মানটা সবাই পান পড়ন্ত বয়সে, অনেক কিছু অর্জনের পর। তবে মার্কাস রাশফোর্ড সেটি পেলেন মাত্র ২২ বছর বয়সেই। ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টারের সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধি পেলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। শিশুদের দারিদ্র্য দূর করায় তার অবদানের জন্য এই সম্মান পেয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের সময় ইংল্যান্ডের অনেক শিশুর স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের দুইবেলা খাবার যোগানোটাই বাবা মায়েদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। এই সময়ে সরকার থেকেও সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা আসার পর আন্দোলন শুরু করেন রাশফোর্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রতিবাদের জেরেই নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় সরকার। এরপরেই রাশফোর্ড রাতারাতি ‘ন্যাশনাল হিরো’ বনে যান। তবে করোনাভাইরাসকালীন অবস্থায় আরও নানা রকম দাতব্য কাজেও জড়িত আছেন রাশফোর্ড। এইসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার থেকে এই সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন। তার আগে ইউনাইটেডের স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ও স্যার ববি চার্লটন। আর ম্যান সিটির ভিনসেন্ট কোম্পানিও পেয়েছেন এই সম্মান। ম্যানচেস্টারের এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাশফোর্ডই সবচেয়ে কম বয়সে ডক্টরেট পেলেন।
রাশফোর্ড নিজেও জানেন, এই স্বীকৃতি কত বড়, ‘আমার আগে আরও কয়েওজন গ্রেট এই সম্মান পেয়েছেন। আমি নিজেকে খুবই ধন্য মনে করছি। এই দেশে শিশু-দারিদ্র্য দূর করতে এখনো অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। তবে আপনি যখন নিজ শহর থেকে এরকম সম্মান পাবেন তখন বুঝতে পারবেন আপনি ঠিক পথেই আছেন।’ ইউনাইটেডের ম্যানেজার ওলে গানার সোলশারও উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন রাশফোর্ডের, ‘ও দারুণ একজন মানুষ। নিজের চেয়ে সবসময় আশেপাশের মানুষকে নিয়ে বেশি ভাবে ও।’