সাকিবের জন্য 'অধীর আগ্রহে' অপেক্ষা করছে বিসিবি
নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে শ্রীলঙ্কা সফরেই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন সাকিব আল হাসান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ মাসের শেষে দেশে ফিরবেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেই বাংলাদেশ দলের জন্য বিবেচনা করা হবে তাকে। তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, এমনও জানিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।
২৪ অক্টোবর থেকে শুরু ৩ টেস্টের সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল এইচপি দলকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীলঙ্কা যাবে ২৩ সেপ্টেম্বরের দিকে। আইসিসি থেকে দেওয়া সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২৯ অক্টোবর। এরপরই দলের সঙ্গে সাকিব যোগ দিতে হলে অবশ্য কিছু ব্যাপারের দিকে নজর দিতে হবে বিসিবিকে। সিরিজের মাঝপথেই ফিরলে ফেরার আগে ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগ পাবেন না তিনি, যদি না টেস্ট সিরিজের মাঝে কোনও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। সঙ্গে থাকবে সাকিবের ফিটনেসের ব্যাপারও।
তবে তাকে নিয়ে আশাবাদি পাপন, “তার সাথে কী কথা হল আমি সেটা বলবোনা। আমি শুধু এটা বলবো, যেদিন ওর নিষেধাজ্ঞাটা উঠে যাবে তারপরই সে আমাদের সাথে খেলতে পারবে। তখন থেকেই তাকে খেলানোর জন্য বিবেচনা করা হবে, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আমরা সবাই অধীর আগ্রহে বসে আছি কবে ফিরবে।
“কিন্তু এসবের সাথে ওর ফিটনেস, প্রস্তুতিরও একটা ব্যাপার আছে। এ জন্য ও ওর মত যেভাবে অনুশীলন করা দরকার... এখনতো সে আমাদের সাথে করতে পারছেনা। এখন নিষেধাজ্ঞার কারণে আমদের সাথে করতে পারবেনা। এ কারণে সে বিকল্প চিন্তা ভাবনা করেছে। আমার সাথে কথা বলেছে। শেষ যখন কথা হল তখন বলেছে এ মাসের শেষ দিকে চলে আসবে। আর আশা করছি ও ফিট থাকবে, সবই থাকবে এবং আমাদের সাথে শ্রীলঙ্কায় সে জয়েন করতে পারবে।”
পরের মাস থেকে বিকেএসপিতে অনুশীলন শুরু করতে পারেন সাকিব। তবে পাপন বলছেন, তাকে শ্রীলঙ্কা চলে যেতে বলা হতে পারে আগেই, “এখন থেকেই আমরা দেখবো। আইন অনুসারেই সে আমাদের ফিজিও, কোচের সাথে আলাদা আলাদা করে কাজ করতে পারবে। তাকে তো ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে, আর আমরা তাকে আগেই শ্রীলঙ্কায় যেতে বলবো। ওখানেও তাকে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এসব নিয়েই আলাপ আলোচনা হচ্ছে।”
এদিকে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার আগে কন্ডিশনিং ক্যাম্প কীভাবে হবে, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বিসিবি। পাপনের মতে, দেশে যতো কম অনুশীলন করে শ্রীলঙ্কা গিয়ে কাজ সারতে পারলেই ভাল, “
এখন ব্যক্তিগত অনুশীলন হচ্ছে। নিয়ম মেনে আমরা সব ভাগ করে দিয়েছি। সব কিছু ঠিকঠাক চলছে। কিন্ত ওদের (ক্রিকেটারদের) এখনও টেস্ট করানো হয়নি। ওরা ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বিসিবিতে ওরা যখন আসছে গ্রাউন্ডসম্যানরা একই সঙ্গে কাজ করছে। আরও কত মানুষ আছে। এদের কারো টেস্ট হয়নি। তাইতো ওরা যে নিরাপদ আমরা তো বলতে পারছি না।
“এখন ওদের জন্য যে ক্যাম্প করবো, ওদেরকে একটা হোটেলে রাখতে হবে। ওই হোটেলে যে স্টাফ তাদের তো টেস্ট করিনি। ওদের হাউসকিপিং, খাওয়া-দাওয়া কোথা থেকে হবে সেগুলো তো জানি না। ঝুঁকি থাকবেই। এখন এটাকে কিভাবে কমানো যায়, সেজন্য এটাই পরামর্শ দিয়েছি (এখানে) যত অনুশীলন কম করে এটাকে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যাওয়া। এখানে ব্যাপারটাকে সংক্ষিপ্ত করে ওখানে আগে গিয়ে অনুশীলন করা। আমরা ধারণা করতে পারি, এই মুহুর্তে আমাদের থেকে ওদের ওখানে নিরাপদ। এজন্য ওখানে বেশি সময় নিয়ে ক্যাম্প করলে সেটাই বেশি ভাল।”