কোভিড-১৯ এর ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বিকল্প প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বিসিবি
লম্বা স্কোয়াড, ঘন ঘন টেস্ট, কোচদের কোয়ারেন্টাইন-- কোভিড-১৯ এর ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ‘বিকল্প’ প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বিসিবি। এর আগে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আবাসিক কন্ডিশনিং ক্যাম্পের কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে যাচ্ছে কিছুদিন, পিছিয়ে যেতে পারে শ্রীলঙ্কা যাত্রাও। মঙ্গলবার এসব জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
এর মাঝেই ক্রিকেটাররা বিসিবির অধীনে ব্যক্তিগত অনুশীলনে ফিরলেও কারও কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হয়নি এখনও। ১৮ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটারদের বাসায় গিয়ে এসব টেস্ট করাবে বিসিবি। নেগেটিভ আসা ক্রিকেটারদের নিয়ে ২১ তারিখ শুরু হবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প, যেখানে ক্রিকেটারদের রাখা হবে হোটেলে। এর আগে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে হওয়ার কথা ছিল এ ক্যাম্প।
অন্য সময়ের চেয়ে এ সফর লম্বা বলে সবক্ষেত্রেই বিকল্প প্রস্তুতি আছে বিসিবির মাথায়, জানিয়েছেন আকরাম, “কোভিডকে যতটা সহজ মনে হচ্ছে ততটা সহজ না। অনেক ঝুঁকি আছে, আমাদের অনেক বিকল্প রাখতে হবে। আমরা আলাপ আলোচনা করেছি, এর মধ্যে প্রায় টেস্ট হতেই থাকবে। এগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি। এটা অনেক বড় সফর।”
তবে শ্রীলঙ্কা গিয়ে কতদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, সেটি এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি বিসিবি। কিন্তু এর আগে শ্রীলঙ্কা সরকারের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিয়মের কারণে স্থগিত করা হয়েছিল লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ।
বিসিবির অধীনে ব্যক্তিগত অনুশীলনে ফিরলেও এখনও কারও কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হয়নি
“কোয়ারেন্টাইনে কতদিন থাকতে হবে সেটাও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। ওরা আসলে দুই ধরনের কথা বলছে। আমরা হয়তো কিছুদিনের মধ্যে নিশ্চিত হতে পারবো। একবার বলছে ১৪ দিন আবার বলছে দুই তিন দিন। সুতরাং এটা নিয়ে কনফিউশনে আছি। চূড়ান্তটা ওরা জানিয়ে দিবে। ওরা যেভাবেই জানায় সেভাবেই পরিকল্পনা হবে। কারণ আমরা জানি সফরটা লম্বা সময়ের হবে”, বলেছেন আকরাম।
শ্রীলঙ্কা গিয়ে বাংলাদেশের ঘাঁটি কোথায় হবে, সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি এখনও, “সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা করে কলম্বোতেই হবে মনে হয়। এখনো অবশ্য চুড়ান্ত কিছু জানায়নি কিন্তু মনে হয় কলম্বোতেই হবে। হসপিটাল, উন্নত চিকিৎসা এসব সুযোগ সুবিধা ভালো ওখানে।
“এসবের ওপর (সবকিছু) নির্ভর করছে। কোচরা এসে আবার এখানে কোয়ারেন্টাইনে থাকবে, এরপর অনুশীলন শুরু হবে। সবকিছু মিলিয়ে কঠিন, তারপরও আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছি যেন কোনো ঝামেলায় না পড়ি।”
“যেটা বললাম সংখ্যাটা বাড়াবো, স্কোয়াডটা বাড়াবো। এর মধ্যে সবশেষ যারা খেলেছে তারাতো থাকবেই। এ ছাড়া আমরা শ্রীলঙ্কায় তিন চারটা অনুশীলন ম্যাচ খেলবো সেখান থেকেও বাছাইয়ের সুযোগ থাকবে।”
“কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে এবং ঘন ঘন টেস্ট হবে। যেমন আমরা এখানে ১৮ তারিখ একবার করবো, ২১ তারিখ একবার করবো এবং যাওয়ার আগে একবার করবো। সেখানে গিয়েও করবে, যতটুকু শুনলাম শ্রীলঙ্কা বোর্ডও ঘন ঘন টেস্ট করাবে। আল্লাহ না করুক এরপরও কেউ আক্রান্ত হলে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে, এসব নিয়েই চিকিৎসকদের সাথে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু যতটুকু সতর্কতা থাকা যায় আরকি।”
তবে শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই, এমন জানিয়েছেন আকরাম। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে ৩ টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। এ সফরে টি-টোয়েন্টি রাখার প্রস্তাব করা হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি হচ্ছে না।