• ক্রিকেটে ফেরা
  • " />

     

    'ফিটনেসের উন্নতি হচ্ছে, তবে বোলিং ফিটনেস পেতে দেরি হবে আরও'

    'ফিটনেসের উন্নতি হচ্ছে, তবে বোলিং ফিটনেস পেতে দেরি হবে আরও'    

    নিজের ফিটনেসের মান ওপরের দিকে যাচ্ছে, তবে বোলিং ফিটনেসটা পেতে এখনও দেরি হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার আবু জায়েদ রাহি। সিলেটে বিসিবির অধীনে ব্যক্তিগত অনুশীলন করছেন তিনি, বুধবার অনুশীলন শেষে এসব বলেছেন এই ডানহাতি। 

    ইংল্যান্ডে সবার আগে পেসারদের ফেরানো হয়েছিল অনুশীলনে, নিজ নিজ কাউন্টি মাঠে ফিরেছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডরা। বাংলাদেশে অবশ্য পরিস্থিতিটা ভিন্ন। ক্রিকেটারদের অনুরোধে বিসিবি দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়েছে ক্রিকেটারদের। ঈদের আগে শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, খালেদ আহমেদরা ফিরেছিলেন অনুশীলনে, ঈদের পর যোগ দিয়েছেন রাহিরা। 

    সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আলাদা আলাদা সময়ে অনুশীলন করছেন চারজন বোলার-- রাহি, খালেদ, এবাদত হোসেন ও স্পিনার নাসুম আহমেদ। সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে সিলেট ‘আপ টু দ্য মার্ক’, রাহি মনে করেন এমনই, “সিলেটে অনুশীলন সুযোগ সুবিধা অনেক ভালো। আমরা ইনডোর ফ্যাসিলিটিস পাচ্ছি, তারপরে জিম ও সেন্টার উইকেট। আমাদের চারজনের জন্য চারটা উইকেট প্রস্তুত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে ফ্যাসিলিটিটা আপ টু মার্ক।”

    লম্বা বিরতির পর অনুশীলনে ফিরে শুরুতে যেমন ফিটনেস দেখেছিলেন, সেটির উন্নতি হচ্ছে তার, “নিজেদের ফিটনেসের কথা বলতে গেলে মনে হচ্ছে ভালো, একটু ওপরের লেভেলে যাচ্ছে। কারণ প্রথম দিকে আমরা যখন অনুশীলন শুরু করি দুই সপ্তাহ আগে তখন মনে হচ্ছিল কী হবে! পরের দিকে যখন রানিং শুরু হল, ইনডোর, আউটডোর এছাড়া আমাদের হিল রানিংয়ের ব্যবস্থা আছে তখন মনে হল ফিটনেসটারও ভালো উন্নতি হচ্ছে।”

    তবে, “বোলিং ফিটনেসটা আসতে একটু দেরি হবে। এখন আমরা এ জায়গায় বোলিং অনুশীলন নিয়েই নিয়ে কাজ করছি। তবে যদি সিলেট স্টেডিয়ামের সুযোগ সুবিধার কথা বলেন সত্যি অবিশ্বাস্য। এ জায়গায় অনেকদিন ধরে আসছি, স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে মাঠে প্রবেশ করছি। গ্রাউন্ডসম্যানরা সবাই মাস্ক ব্যবহার করছে। আর যদি সামাজিক দূরত্বের কথাও বলেন, সেটাও ভালো। আমরা চারজন আলাদা আলাদা সময়ে অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছি। গ্রাউন্ডসম্যানদের যখনই উইকেট দিতে বলেছি তারা বৃষ্টির মাঝেও দিয়েছে। জিম ফ্যাসিলিটিও ভালো।”

    শ্রীলঙ্কা সফরের আগে এখনও ব্যক্তিগত অনুশীলের মাঝেই আছেন ক্রিকেটাররা। ১৮ তারিখ ক্রিকেটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোভিড-১৯ এর টেস্ট করানো হবে, এরপরই শুরু হবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে লম্বা সফরের জন্য শ্রীলঙ্কা যাবে বাংলাদেশ, যেখানে তারা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে খেলবে ৩টি টেস্ট।