• ক্রিকেটে ফেরা
  • " />

     

    লম্বা বিরতির পর কে কতোখানি প্রস্তুত, তার ওপর শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াড

    লম্বা বিরতির পর কে কতোখানি প্রস্তুত, তার ওপর শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াড    

    বাংলাদেশ থেকে প্রাথমিক স্কোয়াড নিয়ে শ্রীলঙ্কা গিয়ে টেস্ট সিরিজের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবে বিসিবি। কোভিড-১৯ বিরতির পর ক্রিকেটারদের কে কতোখানি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত, সেসব বিবেচনা করতে সময় নিতে চান নির্বাচকরা। সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার অনুশীলনটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। 

    দেশের মাটিতে মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শেষবারের মতো খেলেছিল বাংলাদেশ। অক্টোবরে প্রায় ৭ মাসেরও বেশি সময় পর ক্রিকেটে ফিরবে তারা। এর আগে দীর্ঘদিন ক্রিকেটাররা ছিলেন ঘরবন্দি হয়েই। 

    তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য সময় প্রয়োজন বলে মনে করেন নান্নু, “জিম্বাবুয়ে সিরিজে আমরা শেষবারের মতো টেস্ট খেলেছিলাম, এখানে অনেকদিন ধরে আমাদের খেলা নেই। অনুশীলনের মধ্যেও নেই, তারপরও অভিজ্ঞতাটাকে আমরা অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি। শ্রীলঙ্কা গিয়ে আমাদের অনেকগুলো প্রস্তুতি ম্যাচ আছে, ওইখানেই আমরা মূল স্কোয়াডটা ঘোষণা করব। একটা প্রাথমিক দল নিয়ে সেখানে যাব, শ্রীলঙ্কায় অনুশীলন সেশনটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই পাঁচ মাস সবার জন্যই একটা লম্বা বিরতি ছিল। এই বিরতির মাঝে কে কতটুকু তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে, মানসিক দিক দিয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত করতে পারছে এগুলো সব দেখা হবে। এখান থেকে ২০-২২জন নিয়ে যাচ্ছি, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পুরো স্কোয়াডটা প্রস্তুত করব। এরপর সেখানে গিয়ে মূল স্কোয়াড দিব।”

    শ্রীলঙ্কা সফরের আগে বাংলাদেশে সপ্তাহখানেকের আবাসিক ক্যাম্প করবে বিসিবি। ক্যাম্পের ক্রিকেটারদের কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে, সেখানে জাতীয় দলের ৩৮ জনের পুলের সবারই এই টেস্ট করানো হবে। এ ৩৮ জনের ভেতর থেকে ২০-২২ জনের স্কোয়াড যাবে শ্রীলঙ্কায়। 

    “ওইটা আমরা মাথায় রাখছি। সবারই কভিড টেস্ট করানো হবে। এটা আমরা ব্যাক আপ হিসেবে রেডি রাখছি, সাথে ২৪ জনের একটা এইচপি স্কোয়াডও সেখানে যাচ্ছে। ওইভাবেই আমরা ব্যালেন্স করে রাখছি, যাকে যখন দরকার হবে ব্যবহার করা হবে।”

    এদিকে যাদের বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা যাবে না, তাদেরকে মিরপুরে একাডেমিতে ডেকে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়, “এইচপিরও মোটামুটি একই। আর জাতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই যেহেতু নিজের বাসায় থাকেন সে জন্য তাদের বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। আর এইচপির যারা ঢাকায় নিজের বাসায় থাকে তাদেরও বাসা থেকেই সংগ্রহ করা হবে। এবং একই সময়ে বাকিদের আমাদের ক্রিকেট একাডেমিতে এনে করা হবে ভাগে ভাগে, এক সাথে না।”

    এইচপি দল ক্যাম্প থেকেই জাতীয় দলের সঙ্গে থাকবে, শ্রীলঙ্কা গিয়েও সেটি করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।