সাদমানের অন্যরকম ফেরা...
দেশে ফিরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া, এরপর মাঠে ফেরার লড়াই-- অন্তত সাদমানের ইসলামের মনে হয়তো পরিস্থিতিটা ছিল এমনই। কবজির চোট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে অস্ত্রোপচার করে ফিরেছিলেন জাতীয় দলের ওপেনার, তবে এরপরই পড়েছেন কোভিড-১৯ মহামারিতে দেশের লকডাউনের মুখে। লম্বা বিরতির পর ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন তাই এই বাঁহাতির জন্য একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা, তিনি তো ফিরছেন চোট থেকেও!
মার্চে অস্ত্রোপচার সেরে দেশে ফিরেছিলেন সাদমান। তবে এরপর থাকতে হয়েছিল কোয়ারেন্টাইনে। চিকিৎসা-পুনর্বাসনের বাকি অংশও করতে হয়েছিল পরামর্শ অনুযায়ী নিজে নিজে, “আস্তে আস্তে আমার হাতের অবস্থা ভালো হওয়া শুরু হলে আমি ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করলাম। পুনর্বাসনে যেই কাজগুলো দিয়েছিল সেগুলো শুরু করেছিলাম। আড়াই মাসের মতো কাজ করার পর আমার একটা জায়গা আছে একাডেমি, সেখানে মাঝে মাঝে ব্যাটিং ড্রিল করতাম, রানিং করতাম। জিমটা করতাম।”
গত সপ্তাহ থেকে বিসিবির অধীনে ব্যক্তিগত অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন সাদমান। শুরুর দিকে ভয়ই কাজ করছিল তার মনে, “লকডাউনের পরে বা ঈদের পরে আমি কোথাও অনুশীলন শুরু করিনি। ব্যাটিং করা হয়নি, বা মেশিনে লম্বা সময় ব্যাটিং করা হয়নি। একাডেমিতে আমি ড্রিল করেছি। এখানে এসে যখন ব্যাটিং করলাম মেশিনে তখন শুরুতে একটু ভয় হচ্ছিলো। এর আগে তো ব্যাটিং করা হয়নি, ভেবেছিলাম ব্যথা লাগতে পারে। কিন্তু প্রথম দিন ব্যাটিং করার পর আল্লাহর রহমতে ব্যথা অনুভব করিনি। এখন তো আমাদের বোলাররা বোলিং করছে। খুব ভালো লাগছে। ব্যথা নেই এখন।”
২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক করার পর সাদমান এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৬টি টেস্ট। তবে এই চোটের কারণে পাকিস্তান সফর মিস করেছিলেন তিনি।
সামনে শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে অবশ্য আশাবাদি তিনি, “পুনর্বাসন বা লম্বা বিরতির পরে এখন তো (এমনিতেও) কোনো খেলা হচ্ছে না। সামনে আমাদের একটা সিরিজ আছে বা দেশের কোনো ঘরোয়া খেলা শুরু হবে। আমি আগে যেভাবে অনুশীলন করতে পারতাম এখনও সেভাবে অনুশীলন করতে পারছি। ব্যাটিংগুলা আগে যেভাবে খেলতে পারতাম, এখনও সেভাবে খেলতে পারছি। তো আশা করছি সামনে খেলা শুরু হলে বেশ ভালো ভাবেই শুরু করতে পারবো।”