মেসিকে নিয়ে লা লিগার বিবৃতি, ৭০০ মিলিয়ন ইউরোই পরিশোধ করতে হবে
এক খেলোয়াড়ের দলবদল নিয়ে লিগ কর্তৃপক্ষের ঘটা করে বিবৃতি দেওয়ার ঘটনা ফুটবলে বিরলই। লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার মাহাত্ম্য বোধ হয় এতোটাই বেশি যে লা লিগা কর্তৃপক্ষকে শেষ পর্যন্ত বিবৃতিই দিতে হলো। ৩০ আগস্ট দেওয়া বিবৃতি অবশ্য মেসির পক্ষে যায়নি। তারা বলছে মেসিকে অন্য কেউ কিনতে চাইলে বার্সেলোনাকে তার রিলিজ ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করে এরপরই দলে নিতে হবে।
বিবৃতে বলা হয়েছে, "এফসি বার্সেলোনার সাথে খেলোয়াড় লিওনেল আন্দ্রেস মেসির চুক্তি নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। (তাদের মধ্যে কিছু ব্যাখ্যা পরস্পর বিরোধী) লালিগা এই বিষয়টি স্পষ্ট করে জানাতে চায় খেলোয়াড়ের সাথে তার ক্লাবের চুক্তি:
- চুক্তিটি বর্তমানে কার্যকর রয়েছে এবং ২৬ জুনের রয়্যাল ডিক্রি ১০০৬/১৯৮৫ এর ১৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে লিওনেল আন্দ্রেস মেসি একতরফাভাবে চুক্তির সমাপ্তিকে সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই চুক্তির সঙ্গে একটি "শর্ত" প্রযোজ্য, যা পেশাদার অ্যাথলেটদের বিশেষ কর্মসংস্থানের সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করে।
- প্রযোজ্য বিধিমালার সাথে সম্মতি রেখে এবং এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে, লা লিগা ফেডারেশন থেকে খেলোয়াড়ের চলে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করবে না, যদি তারা আগে উল্লিখিত ধারাটির পরিমাণ পরিশোধ না করে থাকে।"
২০১৭ সালে মেসির সঙ্গে সবশেষ চুক্তিটি হয়েছিল বার্সেলোনার। সে চুক্তির একটি শর্ত অনুযায়ী শেষ বছরে মেসি চাইলে স্বেচ্ছায় চুক্তি বাতিল করতে পারতেন। মেসির আইনজীবিরি এখন সেই শর্তটিই বলবত করতে চাইছেন। সে অনুযায়ী মেসিকে যে কোনো দল কিনে নিতে পারবে বিনামূল্যে। আর বার্সেলোনা বলছে মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার চুক্তির মেয়াদ বাকি ১২ মাসেরও কম সময়। স্বেচ্ছায় ক্লাব ছাড়তে চাইলে মেসিকে সে ব্যাপারটি নিয়ম অনুযায়ী আরও আগেই ক্লাবকে জানানোর কথা। সেটি করতে ব্যর্থ হওয়ায় মেসিকে কোনো ক্লাব কিনতে চাইলে রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করতে হবে। লা লিগাও বিবৃতিতে একই কথা বলেছে।
এর আগে আজ রবিবার বার্সেলোনার সব খেলোয়াড় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়েছেন। বার্সেলোনার নতুন মৌসুমের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা আগামীকাল থেকে। মেসি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেননি, তাই অনুশীলনেও অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই তার।
গেল সপ্তাহে মেসি বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষের সম্পর্ক প্রতিনিয়ত নাটকীয় মোড় নিচ্ছে। এরই মধ্যে মেসিকে আইনি প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কচ্ছেদ করেছে বার্সেলোনা। ঘোলাটে পরিস্থিতি আগামী কয়েকদিনেও নিরসন হওয়ার সুযোগ কম। বরং সময়ে সময়ে ঘটনা বিভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে।