জাতীয় দলের ক্যাম্পের একজনের কোভিড-১৯ উপসর্গ, আইসোলেশনে তার সংস্পর্শে আসা ক্রিকেটাররা
বাংলাদেশের জাতীয় দলের স্কিল ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের মাঝে দুজনের কোভিড-১৯ টেস্টের ফল ‘বর্ডারলাইন নেগেটিভ’ এসেছে। তবে এ দুজনের একজনের ‘ক্ল্যাসিকাল কোভিড-১৯’ উপসর্গ আছে। তার সংস্পর্শে আসা বাকি ক্রিকেটারদেরকেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে, রাখা হবে পরবর্তী টেস্ট করানোর আগ পর্যন্ত। সূত্রমতে, মোট ১০ জন ক্রিকেটারকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের একাডেমিতে। মূলত ক্যাম্পের জন্য এই ক্রিকেটারদের বেশিরভাগ ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন সম্প্রতি।
শ্রীলঙ্কা সফরের আগে রবিবার প্রথমবারের মতো স্কোয়াডকে গ্রুপ করে নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ। ‘বায়ো-সিকিউর’ বলয় তৈরি করে শুরু হয়েছে এ ক্যাম্প, যেখানে ক্রিকেটারদের রাখা হবে ঢাকার একটি হোটেলে। এ ক্যাম্পকে সামনে রেখেই কয়েকদফা কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হয়েছে ক্রিকেটারদের।
শুক্রবার ঢাকায় থাকা ক্রিকেটার ও শনিবার ঢাকার বাইরে থেকে আসা ক্রিকেটারদের কোভিড-১৯ টেস্ট করানোর পর বিসিবি জানিয়েছিল, শুক্রবার টেস্ট করানো ১৮ ক্রিকেটার এবং শনিবারের টেস্টে সব ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের ফল নেগেটিভ এসেছিল। তবে রবিবার দুজনের ‘বর্ডারলাইন নেগেটিভ’ আসার কথা জানিয়েছে বিসিবি।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)-এর সূত্রমতে, যদি কারও শরীরে টেস্টের সময় কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি আছে কিনা, সেটি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে তাকে ‘আনক্লিয়ার, ভয়েড, ইনকনক্লুসিভ বা বর্ডারলাইন’ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। যত দ্রুত সম্ভব আরেকটি টেস্ট করানোর সঙ্গে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশও আছে সেখানে।
ক্যাম্পে বায়ো-সিকিউর বলয় তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড, ইসিবির গাইডলাইন অনুসরণ করছে বিসিবি, জানিয়েছেন বিসিবির স্পোর্টস ফিজিশিয়ান ডাঃ দেবাশীষ চৌধুরি।
“বায়ো-সিকিউর পরিবেশের মান বজায় রাখতে কোভিড-১৯ ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইলন অনুযায়ী উপসর্গ দেখা দেওয়া ব্যক্তিকে সম্প্রতি তার সংস্পর্শে আসা অন্য সবার সঙ্গে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী টেস্ট করানোর আগ পর্যন্ত।”
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর করানো টেস্টে পজিটিভ এসেছিলেন ওপেনার সাইফ হাসান। এরপর আরেকদফা টেস্টেও নেগেটিভ ছিলেন তিনি। যে ২৭ জনকে ক্যাম্পে ডেকেছে বিসিবি, তাদের মাঝে আছেন সাইফও।