• বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০
  • " />

     

    উজ্জ্বল রবি, বরিশাল বাধা পেরিয়ে প্রথম জয় ঢাকার

    উজ্জ্বল রবি, বরিশাল বাধা পেরিয়ে প্রথম জয় ঢাকার    

    ফরচুন বরিশাল ১০৮/৮, ২০ ওভার (হৃদয় ৩৩, তামিম ৩১, রবি ৪/২০, নাঈম ১/৮, শফিকুল ২/১০)
    বেক্সিমকো ঢাকা ১০৯/৩, ১৮.৫ ওভার (রাব্বি ৪৪*, মুশফিক ২৩*, তামিম ২২, মিরাজ ১/১৩)
    ঢাকা ৭ উইকেটে জয়ী 


    কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন রবিউল ইসলাম রবি, নাঈম হাসান, শফিকুল ইসলাম-- বেক্সিমকো ঢাকার বোলাররাই, ফরচুন বরিশালকে ১০৮ রানে আটকে দিয়ে। তবে শুরুর দিকে দুই রান-আউট, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট একটু চাপে ফেলে দিয়েছিল ঢাকাকে। ইয়াসির আলি রাব্বির সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সে চাপ কাটিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম জয় পেয়েছে ঢাকা। সমানসংখ্যক ৪ ম্যাচে বরিশালও আটকে থাকলো এক জয়েই। 

    টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নামা ঢাকা এদিন ছিল রবির আলোয় উজ্জ্বল, ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি, আরেক অফস্পিনার নাঈম হাসান ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৮ রান। তামিম ইকবাল ও তৌহিদ হৃদয় যথাক্রমে সমানসংখ্যক বলে করেছেন ৩১ ও ৩৩ রান, এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন আর একজন। 

    মেহেদি মিরাজের বদলে তামিমের সঙ্গে এদিন ওপেন করতে নেমেছিলেন স্বীকৃতি ওপেনার সাইফ হাসান, যাকে পেসার সুমন খানের বদলে নিয়েছিল বরিশাল। শুরুটা ঠিকঠাকই ছিল তাদের, প্রথম ওভারে শফিকুল ইসলামের প্রথম ও শেষ বলে চার মেরেছিলেন তামিম, পরের তিন ওভারেই ছিল বাউন্ডারি। 

    ৫ম ওভারে রবি করলেন জোড়া আঘাত, পরপর দুই বলে ফেরালেন সাইফ ও পারভেজ হোসেন ইমনকে। সাইফের এলবিডব্লিউ ঢাকা পেয়েছে রিভিউ নিয়ে, ইমন তুলেছেন ক্যাচ। রবি হ্যাটট্রিক পাননি, তবে সে ওভারে দিয়েছিলেন ১ রান। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসে নাঈম করেছেন মেইডেন, প্রথম ৬ ওভারে ২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি বরিশাল। 

    রবি পরের ওভারে আবার আঘাত করেছেন, এবার তার শিকার আফিফ হোসেন। বরিশালের বাড়তে থাকা চাপ একটু কমানোর আভাস দিয়েছিলেন তৌহিদ হৃদয়, রবির তৃতীয় ওভারে ছয়-চার মেরে। তামিম ও তিনি ইনিংস পুনর্গঠনের কাজ করছিলেন, তবে গিয়ার বদলাতে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে তামিমের। রবির শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিসটাইমিংয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তামিম, বরিশাল অধিনায়ক এদিন রবির চতুর্থ শিকার। এর আগে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ক্যারিয়ারে ৬ হাজার রান পূর্ণ হয়েছে তার টি-টোয়েন্টিতে। 

    নিজের শেষ ওভারে এসে ইরফান শুক্কুরের উইকেট পেয়েছেন নাঈম, তার বোলিং ফিগার শেষ পর্যন্ত ছিল এমন: ৪-১-৮-১। শেষদিকে শফিকুলের এক ওভারে ফিরেছেন হৃদয় ও মিরাজ, এই পেসার ৩ ওভারে দিয়েছেন ১০ রান। আর রুবেলের করা শেষ ওভারে তানভির ফিরলেও ইনিংসের শেষ বলে বরিশালের হয়ে তৃতীয় ছয় ও ১২ বাউন্ডারির শেষটি মেরেছিলেন তাসকিন। 

    সেই তাসকিনকেই দুই ছয় মেরে খেলা শেষ করেছেন পরে ইয়াসির আলি রাব্বি। রানতাড়ায় একসময় একটু খেই হারিয়ে ফেলেছিল ঢাকা, পাওয়ারপ্লেতে তারা তুলতে পেরেছিল মাত্র ২২ রান। বোলিংয়ে উজ্জ্বল রবিকে ফিরতে হয়েছিল নাইমের শট বোলার তানভিরের হাত ছুঁয়ে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভাঙায়। পরের রান-আউটে অবশ্য ভাগ্যকে দোষ দেওয়ার সুযোগ নেই, মুশফিকের ভুল কলের শিকার হয়েছেন নাইম। 

    তানজিদ তামিম ভালই খেলছিলেন, রানতাড়ায় ঠিক পথেই ছিল ঢাকাও। মেহেদি হাসান মিরাজ ব্রেকথ্রু দিলেন, তার ভেতরের ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ হলেন তিনি ২০ বলে ২২ রান করে, যে উইকেট বরিশাল পেয়েছে রিভিউ নিয়ে। 

    শেষ ৬ ওভারে ৪৪ রান প্রয়োজন ছিল ঢাকার, সে সময় ইয়াসির রাব্বি একটা ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বিকে। পরের রাব্বি সেটি ধরতে পারেননি, বোধহয় বরিশালের দুয়ারও বন্ধ হয়ে গেছে সেখানেই। শেষ ২ ওভারে ১৬ রানের যা একটু চাপ, তা তাসকিনের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ছয় মেরেই উধাও করেছেন রাব্বি, এরপর আরেকটি ছয়ে সেরেছেন আনুষ্ঠানিকতা।