পারিশ্রমিক নিয়ে 'লজ্জিত' সালাউদ্দিন 'আর কাউকে কোচিংয়ে আসতে বলবেন না'
দেশের কোচদের পারিশ্রমিক নিয়ে তিনি ‘লজ্জিত’, বলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালের আগে এমন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ৮টি জেতা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কোচ।
“আমি এখানে কোন পারিশ্রমিক নিচ্ছি না। গাজী গ্রুপে আমি চাকরি করি। কোচের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে আমি খুব লজ্জিত”, ফাইনালের আগে বলেছেন সালাউদ্দিন।
এবার বিপিএল স্থগিত হলেও বিসিবি আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার লিগ। বিদেশী ক্রিকেটার যেমন এ টুর্নামেন্টে নেই, তেমনি প্রতিটি দলের কোচিং স্টাফের সবাই স্থানীয়। তাদের পারিশ্রমিক নিয়ে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের সামনে সালাউদ্দিন বলেছেন, তিনি আর কাউকে এ পেশায় আসতে বলবেন না, “আমি সারাজীবনই চেয়েছি বাংলাদেশে যেন কোচেরা আসে, আরও প্লেয়ার আসুক যারা কোচিং করতে আসে। তারা যেন একটা ভালো স্ট্যাটাস নিয়ে বাঁচতে পারে। আমার কাছে মনে হয় এ ধরনের পারিশ্রমিকে কখনই কোন ছেলেকে বলবো না তোমরা কোচিংয়ে আসো।
নিজেদেরকে ‘ই’ গ্রেডের উল্লেখ করেছেন তিনি, “এদেশে কোন মূল্যায়ন হয় কীনা ,আমি জানিনা। দেখেন, আমরা 'ই' গ্রেডের মানুষ। 'ডি' গ্রেডের একটা খেলোয়াড় যা পাচ্ছে, তা কিন্তু একটা কোচও পাচ্ছে না। তাহলে কেন আমি আরেকটা কোচকে বলবো তুমি এই পেশায় আসো।”
“আমরা 'ই' গ্রেডের মানুষ, অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচরা হয়তো 'এফ' গ্রেডের মানুষ। ট্রেইনার 'জি', 'এইচ' অথবা এমন হবে আরকি।”
এ টুর্নামেন্টে সর্বনিম্ন ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকা একেকজন ক্রিকেটার পাবেন ৪ লাখ টাকা করে, সর্বোচ্চ ‘এ’ গ্রেডে থাকা ক্রিকেটাররা পাবেন ১৫ লাখ করে।
কোচদের মূল্যায়ন করা উচিৎ বিসিবির, সালাউদ্দিন সরাসরিই বলেছেন এমন, “আমার মনে হয় সঠিক মূল্যায়ন করা উচিত। আমাদের কোচদের মূল্যায়ন না করা মানে হচ্ছে দলের প্রতি আমাদের কোন ইমপ্যাক্ট নাই। যদি আপনি বলেন যে কোচদের অনেক ইমপ্যাক্ট থাকে প্লেয়ারদের উপর। আমরা আসলে আছি শুধু একটা ম্যাচ চালিয়ে দিবো, একটা টুর্নামেন্ট চালিয়ে দিবো। এর বাইরে আমাদের আর কিছু করার নাই।”