• পাকিস্তানের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    বে ওভালের থ্রিলারে ফাওয়াদ-বীরত্বের পর পাকিস্তানকে হতাশ করল নিউজিল্যান্ড

    বে ওভালের থ্রিলারে ফাওয়াদ-বীরত্বের পর পাকিস্তানকে হতাশ করল নিউজিল্যান্ড    

    করোনা ভাইরাসের জন্য ২০২০ সালের ক্রিকেট অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছিল। তবে বছর শেষে সেই আক্ষেপ অনেকটাও কমে যাওয়ার কথা। মাউন্ট মঙ্গানুইতে আরও একবার প্রমাণ হলো, টেস্ট ক্রিকেটই ২২ গজের শেষ কথা। দুর্দান্ত এক থ্রিলারে পাকিস্তানকে ১০১ রানে হারিয়ে জিতল নিউজিল্যান্ড। এই সিরিজ জিততে পারলে প্রথমবারের মতো আইসিসি টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে যাবে তারা। 

    এই টেস্টের নায়ক হতে পারতেন যে কেউ। প্রথম দিনে দারুণ বল করা শাহীন আফ্রিদি হতে পারতেন, কেন উইলিয়ামসন তো সামনে থেকে পথ দেখিয়েছেন নিউজিল্যান্ডকে, তার দুর্দান্ত ইনিংসেই নিউজিল্যান্ড পেয়েছে জয়ের ভিত। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে তার হাতেই। তবে শেষ দিনের জয়ের জন্য বোলারদেরই সেই পুরস্কারটা দেবেন উইলিয়ামসন। ভাঙা আঙুল নিয়ে বল করে গেছেন নিল ওয়াগনার, তার আগে হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচের প্রথম ব্রেকথ্রু দিয়েছেন কাইল জেমিসন। আর তুলির টানে শেষ আঁচড় দিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার।

    তবে পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান ফাওয়াদ আলম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান হতাশ হতেই পারেন। শেষ দিনে প্রায় নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন তারা। চতুর্থ দিন শেষে যখন পাকিস্তানের সামনে চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয়, পঞ্চম দিনের অনেকটা পার করে ফেলেছিলেন তারা দুজন। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল, চাইলে জয়ের চেষ্টাও করতে পারে পাকিস্তান। দুজনের ১৬৫ রানের জুটিটা শেষ পর্যন্ত থেমে গেল তৃতীয় সেশনে। জেমিসনের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এলবিডব্লু হয়ে গেলেন রিজওয়ান, যদিও আম্পায়ার আউট দেননি শুরুতে। অন্য প্রান্তে তার আগে সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন ফাওয়াদ আলম। দীর্ঘদিনের বঞ্চনার পর চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞাটা আজ দেখিয়ে দিচ্ছিলেন প্রতিটা মুহূর্তে। চন্দরপলকে মনে করিয়ে দেওয়া স্টান্সে জানাচ্ছিলেন, এই ম্যাচে তার ওপরেই ভরসা রাখতে পারে দল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। উইলিয়ামসন আর ওয়াগনারের পাতা ফাঁদে পা দিলেন, পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে। ১০২ রানে ফাওয়াদের আউটেই বড় ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান।

    এরপর ইয়াসির শাহ আউট হয়ে গেছেন দ্রুত। প্রথম ইনিংসের নায়ক ফাহিম আশরাফকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ওয়ার্নার। তখন পাকিস্তানের হার সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের টেল এন্ডাররা হাল ছেড়ে দেয়নি। মোহাম্মদ আব্বাসকে নিয়ে শাহীন আফ্রিদি লড়ে গেছেন অনেকক্ষণ। আব্বাসকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু দিয়েছেন স্যান্টনার, কিন্তু শেষ উইকেটে নাসিম আর শাহীনও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। ম্যাচের আয়ু যখন মাত্র পাঁচ ওভার, তখনই স্যান্টনারকে ফিরতি ক্যাচ দিলেন নাসিম। শেষ হয়ে গেল পাকিস্তানের প্রতিরোধ। বে ওভাল মাতল উল্লাসে।