• পাকিস্তানের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর
  • " />

     

    কোহলির ১২৫৮ দিনের রাজত্বের পর ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের সিংহাসনে বাবর

    কোহলির ১২৫৮ দিনের রাজত্বের পর ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের সিংহাসনে বাবর    

    ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে টপকে আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানের র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে উঠেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে এক নম্বরে ছিলেন কোহলি, ফলে ১২৫৮ দিন, প্রায় সাড়ে তিন বছর বা ৪১ মাসেরও বেশি সময় পর শীর্ষস্থান হারালেন তিনি।  

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপ সুপার লিগের অধীনে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৮২ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলার পর রেটিংয়ে কোহলিকে টপকে গেছেন বাবর। এ ইনিংসে পাওয়া ১৩ রেটিং পয়েন্টে বাবরের মোট পয়েন্ট হয়েছে ৮৬৫, যা কোহলির চেয়ে ৮ পয়েন্ট বেশি। 

    ৮৩৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সিরিজ শুরু করেছিলেন বাবর, প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির পরই তার রেটিং হয়েছিল ৮৫৮, যা কোহলির চেয়ে এক বেশি। তবে যতক্ষণে আইসিসির সাপ্তাহিক র‍্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়, ততোদিনে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩২ রান করে কোহলির নিচে নেমে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সর্বশেষ সাপ্তাহিক র‍্যাঙ্কিং আপডেটে ঠিকই শীর্ষে উঠলেন তিনি। 

    ২০০৩ সালে মোহাম্মদ ইউসুফের পর এই প্রথম ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠলেন কোনো পাকিস্তান ব্যাটসম্যান। বাবর ও ইউসুফ ছাড়া পাকিস্তান থেকে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠা আর দুই ব্যাটসম্যান-- ১৯৮৩-৮৪ সালে জহির আব্বাস ও ১৯৮৮-৮৯ সালে জাভেদ মিয়াঁদাদ। 

    “আমি সম্মানিত, জহির আব্বাস, জাভেদ মিয়াঁদাদ, মোহাম্মদ ইউসুফের মতো পাকিস্তানের উজ্জ্বল তারকাদের সঙ্গে আসতে পেরে”, পাকিস্তান ক্রিকেটের এক বিবৃতিতে বলেছেন বাবর। “এটা আমার ক্যারিয়ারের আরেকটা মাইলফলক, এখন আমাকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে যাতে লম্বা সময় এ র‍্যাঙ্কিং ধরে রাখতে পারি, যেমন স্যার ভিভ রিচার্ডস ১৯৮৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত করেছিলেন, ভিরাট কোহলি ১২৫৮ দিন ধরে করেছেন।”

    “আমি এর আগে টি-টোয়েন্টির শীর্ষস্থানে উঠেছি, তবে আমার সবসময়ই লক্ষ্য ছিল টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠা, যে ব্যাটসম্যানের সামর্থ্য, স্কিলের আসল পরিচায়ক, পুরস্কার। আমি জানি, সে লক্ষ্য পূরণ করতে হলে আমাকে ধারাবাহিক পারফর্ম করে যেতে হবে শীর্ষস্থানীয় দলের সঙ্গে।” 

    বাবরের ইতিহাস গড়ার দিনে সিরিজে দুই সেঞ্চুরিতে ক্যারিয়ারসেরা পজিশন সাতে উঠে গেছেন পাকিস্তান ব্যাটসম্যান ফাখার জামানও। ক্যারিয়ারসেরা ১১ নম্বরে উঠে এসেছেন তাদের সতীর্থ বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিও।