নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আরও সময় প্রয়োজন ছিল: নাসুম
নিউজিল্যান্ডে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জায়গায় বাংলাদেশের ঘাটতি ছিল বলে মনে করেন নাসুম আহমেদ। দেশে ফিরে এই বাঁহাতি স্পিনার বলেছেন, সে কন্ডিশনে আরেকটু বেশি সময় প্রয়োজন ছিল তাদের।
তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ‘ক্লিন সুইপ’ হওয়া বাংলাদেশ দেশে ফিরেছে রবিবার। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের পর কুইন্সটাউনে ক্যাম্প, এরপর ছয়টি ভেন্যুতে বাংলাদেশ খেলেছে ছয়টি ম্যাচ। নাসুম খেলেছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজে, সেখানেই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে তার।
“আমি চেষ্টা করছি নিজের মতো। যেহেতু পেশাদার ক্রিকেটার, সব জায়গায় সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিতে হবে। তো আমিও চেষ্টা করছি। বাকিটা.. ব্যর্থতা বলতে... সত্য কথা বলতে আমাদের দ্বারা হয় নাই। আমরা যে খারাপ খেলছি বা... আমাদের দ্বারা হয় নাই, এই আর কি। এর চেয়ে বেশি কিছু না”, বিমানবন্দরে বলেছেন নাসুম।
তবে এই না হওয়ার পেছনে কন্ডিশনের পার্থক্যর কথাই বলেছেন তিনি, “কন্ডিশনে একটু ঝামেলা ছিল। আমার মনে হয় আমরা উইকেটের দিক দিয়ে একটু পিছিয়ে আছি। কারণ আমাদের দেশের উইকেট আর ওখানের উইকেট পুরোপুরি আলাদা। এদিক দিয়ে একটু পিছিয়ে আছি।”
“সবকিছুই ভালো ছিল। কিন্তু আমাদের আরেকটু সময় দরকার ছিল ওদের কন্ডিশনের জন্য।”
ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ বেশ ভাল সুযোগ তৈরি করলেও পিচ্ছিল ফিল্ডিংয়ে হাতছাড়া করেছে সেটি, পুরো সফরেই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ফিল্ডিং। নাসুমের মতে, কন্ডিশনের ব্যাপার আছে সেখানেও, “দেড়-দুই মাস থাকলে আমাদেরও ফিল্ডিংয়ে উন্নতি হতো। কারণ এক নম্বর, সেখানের আকাশ অনেক পরিষ্কার। আর দুই নম্বর, সেখানকার আবহাওয়া আমাদের মতো না। পুরোপুরি আলাদা। আমাদের একটু সময় লাগতো। হয়তোবা আমরা যদি ১৫ দিন বা আরেকটু ক্যাম্প করতে পারতাম, তাহলে আরেকটু ভালো হতো।”
অবশ্য ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই বলেছিলেন, ফল যাই হোক না কেন, প্রস্তুতির দায় দেবেন না। তার মতে, যথেষ্ট ভাল প্রস্তুতি ছিল তাদের। অবশ্য সিরিজশেষে বলেছিলেন, তার আশা নিউজিল্যান্ড যাতে বাংলাদেশে আসে।
নাসুমের কথাতেও একই সুর, “আমাদের যেই সমস্যাটা হয়েছে, ওদেরও (বাংলাদেশে এলে) একই সমস্যা হয়। আমরা- বিশেষ করে আমি- যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, তাদেরও তাই হয়। তারপরও চেষ্টা করেছি স্পিনাররা ভালো কিছু করার। আমরা ভালোও করছি।”