• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর ২০২১
  • " />

     

    ডিএলএস ভজকট, কন্ডিশন নিয়ে হতাশা বাংলাদেশের

    ডিএলএস ভজকট, কন্ডিশন নিয়ে হতাশা বাংলাদেশের    

    নেপিয়ারের ডিএলএস-নাটক, বৃষ্টিভেজা কন্ডিশনে খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার মতে, যেভাবে খেলা হয়েছে, সেটি উপযুক্ত নয়। অবশ্য হারের পেছনে এগুলোকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না তিনি। 

    নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রানতাড়ায় ৯ বল পর খেলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন আম্পায়াররা। বিসিবি, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট, আইসিসি ওয়েবসাইটে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের ১৪৮ রান প্রয়োজন জানানো হলেও তখনও টেলিভিশনের অফিশিয়াল ব্রডকাস্টে দেখানো হয়নি স্কোর। এরপর বাংলাদেশের জন্য নতুন লক্ষ্য জানানো হয় ১৭০ রান। 

    “আমার মনে হয় না এর আগে এমন কোনো ম্যাচে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম, যেখানে ব্যাটসম্যানরা জানে না কতো লক্ষ্য, ডি-এলের লক্ষ্য কতো, যেখানে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল”, ম্যাচশেষে বলেছেন ডমিঙ্গো। “৫-৬ ওভার পর কতো প্রয়োজন সেটি নিয়ে কারও ধারণা ছিল না। আমার মনে হয় না ম্যাচ শুরু হওয়া উচিৎ ছিল লক্ষ্য জানার আগে, একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে আমাদের কতো করতে হতো সেটা জানার আগে। আমার মনে হয় না এদিন এগুলো (ম্যাচ পরিচালনার ব্যাপারগুলি) যথেষ্ট ছিল।”

    মূলত কতো ওভারশেষে কতো রান করতে হবে, ডিএলএসের এই শিটের জন্যই অপেক্ষা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন ডমিঙ্গো, “তারা আসলে অপেক্ষা করছিল, শিটের প্রিন্ট কপির জন্য। আমাকে এখন যেটা জানানো হয়েছে, সাধারণত ম্যাচ শুরুর এক-দুই বল পরই পেয়ে যায়, তবে তখনও পায়নি। আবার দেরিও করতে পারছিল না, কারণ সময় পেরিয়ে যাচ্ছিল। এটা আমাদের জন্য হতাশার, তবে এটা কোনো অজুহাত নয় (হারের)।”

    এর আগে বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের সময় দুই দফা বৃষ্টি বাগড়া বাধিয়েছে, প্রথমদফা প্রায় ২৪ মিনিট, এবং পরেরবার ব্যাটিং শুরুর আগে প্রায় ৫০ মিনিট বন্ধ ছিল খেলা। প্রথমদফা বৃষ্টির পর বাংলাদেশের বোলার এবং ফিল্ডাররা যথেষ্টই ভুগছিলেন বল গ্রিপ করতে। ডমিঙ্গো বলছেন, এমন কন্ডিশনে খেলা চালিয়ে যাওয়া আগে দেখেননি তিনি, আমি কখনো এমন বৃষ্টিতে কোনো দলকে ফিল্ডিং করতে দেখিনি। বৃষ্টি হচ্ছিল, বল ভেজা ছিল, (আউটফিল্ড) পিচ্ছিল ছিল, এগুলো (অবশ্যই হারের) অজুহাত নয়। তবে কন্ডিশনের হিসেবে এগুলো আমার বিপক্ষে গেছে। বৃষ্টির মাঝেই আমরা খেলায় ফিরেছিলাম, জানি না নিয়ম বদলে গেছে কিনা। তবে আমার কাছে মনে হয়-- বৃষ্টি না থামলে কাভার সরানো হবে না, বোলিং হবে না। জানি না নতুন নিয়ম কিনা। সব মিলিয়ে খুবই হতাশার।”

    অবশ্য নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস বলেছেন, ইনিংসশেষেই তারা জানতেন, লক্ষ্য কতো হতে যাচ্ছে, “আমরাও আসলে জানতাম না কী হয়েছিল, একটু ঝামেলা হয়েছিল। জেফ (ক্রো) এসে দুঃখপ্রকাশ করে গেছে। তবে একটু পর দুই দলই জেনে গেছে। আমাদের ইনিংস শেষেই একটা ধারণা ছিল, লক্ষ্য কতো হতে পারে, তেমনই হয়েছে, এক রানের পার্থক্য ছিল বোধহয়। আমাদের কাছে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার ছিল, মনযোগে তেমন বিচ্যুতি ঘটেনি।”

    কন্ডিশনও মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার ছিল, এমন মনে করেন তিনি, “আমরা যতোখানি ভেবেছিলাম, এর চেয়ে বেশি বল শুকনো রাখতে পেরেছি। এমনিতেও রাতের দিকে একটু কুয়াশা থাকেই। গ্রাউন্ডসম্যানরা দারুণ কাজ করেছে এতো তাড়াতাড়ি খেলা শুরুর ক্ষেত্রে। এটা মানিয়ে নেওয়ার আরেকটা ব্যাপার ছিল। আমাদের বোলাররা সত্যিই ভাল করেছে।” 

    বাংলাদেশের মাঠের পারফরম্যান্সও অবশ্য শেষ হয়েছে হতাশার মাঝেই, ১৪২ রানেই আটকে গেছে তারা নির্ধারিত ১৬ ওভারে। ডমিঙ্গোর মতে, শুরুটা ভাল ছিল তাদের, “প্রথম দশ ওভারে ১০০, দারুণ একটা শুরু। ইন্টেনসিটি ছিল, আগের ম্যাচের থেকে উন্নতি হয়েছে বেশ। অবশ্য শেষ করতে পারিনি ভাল। তবে ইতিবাচক দিক ছিল। 

    “যেমন বললাম, নিউজিল্যান্ড কঠিন একটা জায়গা, তারা অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। এখানে আমাদের রেকর্ড সুবিধার নয়। তবে আমরা কী করতে পারি, তার একটু ইঙ্গিত দিয়েছি, তবে ধারাবাহিক হতে পারিনি। আশা করি পরের ৪০ ওভারে ধারাবাহিক হবো, কারণ ৫ ওভার খারাপ গেলেই নিউজিল্যান্ড ঘুরে দাঁড়িয়ে আঘাত করে। আমরা ম্যাচের কোনো পর্যায়ে ভাল করছি, এরপর কোনো পর্যায়ে আবার কিছু ভুল করছি। সেগুলো ভোগাচ্ছে আমাদের। আশা করি পরের ম্যাচে এর চেয়ে ভাল করব।”