• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর ২০২১
  • " />

     

    পরিবর্তন আসছে এলবিডব্লিউ রিভিউ পদ্ধতিতে

    পরিবর্তন আসছে এলবিডব্লিউ রিভিউ পদ্ধতিতে    

    আইসিসির ক্রিকেট কমিটির সুপারিশের পর পরিবর্তন আসছে এলবিডব্লিউ ডিআরএসের আম্পায়ারস কলে। রিভিউয়ে ‘উইকেট জোন’-এর সীমা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, স্টাম্পের ভিত্তি (বেস) থেকে বেলসের শীর্ষ এবং অফস্টাম্পের শেষ থেকে লেগস্টাম্পের শেষ পর্যন্ত অঞ্চলে বলের পঞ্চাশ শতাংশের বেশি হিট করতে হবে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দেওয়া নট-আউটের সিদ্ধান্ত বদলাতে। আগে অফস্টাম্পের শেষ থেকে লেগস্টাম্পের শেষ এবং স্টাম্পের ভিত্তি থেকে বেলসের ভিত্তি পর্যন্ত ‘উইকেট জোন’-এর সীমা মাপা হতো। 

    “সাবেক ভারত অধিনায়ক অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসি ক্রিকেট কমিটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চলমান ইস্যু বিবেচনা করে এর সুপারিশ করেছে, এবং সেটি গৃহীত হয়েছে”, এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আইসিসি। 

    সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচিত ছিল ডিআরএসের আম্পায়ারস কল। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিসহ অনেকেই এটি পুরোপুরি তুলে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। তবে এর আগে আইসিসির ক্রিকেট কমিটির মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হক-আই প্রযুক্তির শতভাগ সঠিক না হওয়ার সম্ভাবনার কারণে আম্পায়ারস কল রাখার পক্ষে সুপারিশ করার কথা ছিল তাদের।

     

     

    কুম্বলে আইসিসির বিবৃতিতে বলেছেন, ডিআরএসের মূলনীতি নতুন’ নিয়মের পরও একই থাকবে, “ক্রিকেট কমিটিতে আম্পায়ারস কল নিয়ে দারুণ আলোচনা হয়েছে, এবং আরও বড় পরিসরে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ডিআরএসের মূলনীতি পরিষ্কার ভুল সংশোধন করার মাঝে নিহিত, একইসঙ্গে মাঠে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আম্পায়ারের ভূমিকাও নিশ্চিত করতে হবে, যেহেতু প্রযুক্তির সঙ্গে একটা অনুমান করার ব্যাপার রয়েছে। আম্পায়ারস কল সেটিতে সহায়তা করে, ফলে এটা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।” 

    ‘উইকেট জোন’-এর এই সীমা বাড়ার সঙ্গে এলবিডব্লিউর রিভিউয়ে পরিবর্তন আসছে আরও একটি। এখন থেকে এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত রিভিউ করার আগে আম্পায়ারের কাছ থেকে কোনো ব্যাটসম্যান শট অফার করেছেন কিনা, সেটি জানতে পারবেন ক্রিকেটাররা। এলবিডব্লিউয়ের ক্ষেত্রে যদি কোনো ব্যাটসম্যান শট খেলার চেষ্টা করেননি বলে মনে করেন আম্পায়ার, সেক্ষেত্রে ইমপ্যাক্ট বিবেচনায় আনা হয় না। 

    এছাড়া এখন থেকে টিভি আম্পায়ার অন-ফিল্ডে নেওয়া শর্ট রানের সিদ্ধান্তও রিপ্লে দেখে সংশোধন করতে পারবেন। 


    আরও পড়ুন: ডিআরএসের ব্যবচ্ছেদ


    বদলি ক্রিকেটার 

    কনকাশন ও কোভিড-১৯-এর পর এবার ক্রিকেটার বদলির ক্ষেত্র বাড়াতে চায় আইসিসি। এখনকার নিয়মে, কনকাশন ও কোভিড-১৯ বদলি ছাড়া অন্য কোনো কারণে বদলি কোনো ক্রিকেটার খেললে সেটির অফিশিয়াল মর্যাদা থাকে না। তবে প্রথম শ্রেণি পর্যায়ের ক্রিকেটে এ নিয়ম পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আইসিসি। 

    টেস্ট ও ওয়ানডে 'মর্যাদা' পাচ্ছে সব উইমেন দল

    আইসিসির পূর্ণ সদস্য সব দেশকেই উইমেন টেস্ট ও ওয়ানডে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে পাকাপাকিভাবে। এছাড়া মেয়েদের ওয়ানডেতে টাই হলে এখন থেকে হবে সুপার ওভার। 

    হচ্ছে না অ-১৯ উইমেন বিশ্বকাপ 

    এ বছরের শেষে বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল প্রথমবারের মতো অ-১৯ উইমেন বিশ্বকাপ। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত। 

    বাড়ছে আইসিসি ইভেন্টে স্কোয়াডের সদস্যসংখ্যা 

    কোয়ারেন্টিন, বায়ো-সিকিউর বলয়ের কথা চিন্তা করে আইসিসি ইভেন্টে এখন বাড়তি সাতজন ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফ নিতে পারবে দলগুলি। আগে সিনিয়র পর্যায়ে ১৫ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে ৮ জন সাপোর্ট স্টাফ রাখা যেত, এখন স্কোয়াডের সদস্যসংখ্যা ২৩ থেকে বেড়ে করা হচ্ছে ৩০ জন। ফলে সর্বোচ্চ ২২ জন ক্রিকেটার নেওয়া যাবে স্কোয়াডে।