• অন্যান্য
  • " />

     

    বাংলাদেশে আসছেন না ওয়ার্নার-কামিন্স-ম্যাক্সওয়েলসহ ৬ জন, চোটের কারণে নেই স্মিথ

    বাংলাদেশে আসছেন না ওয়ার্নার-কামিন্স-ম্যাক্সওয়েলসহ ৬ জন, চোটের কারণে নেই স্মিথ    

    বাংলাদেশ সফরে ব্যক্তিগত কারণে আসছেন না ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্স, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলসহ শীর্ষস্থানীয় ছয়জন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। চোটের কারণে চূড়ান্ত স্কোয়াডে রাখা হয়নি স্টিভ স্মিথকেও। বুধবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং এরপর বাংলাদেশ সফরের জন্য ১৮ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। 

    আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর দেশে ফেরার ঝক্কি সামলাতে হয়েছিল ওয়ার্নারদের। ফলে এ দুই সফর থেকে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের সরিয়ে নিতে পারেন, এমন ভাবনা থেকেই প্রাথমিক স্কোয়াডে বাড়তি ছয়জনকে ডেকেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার-কামিন্সদের না থাকার ইঙ্গিত ছিল আগেই। এরপর ম্যাক্সওয়েল ছাড়াও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন জাই রিচার্ডসন, কেন রিচার্ডসন ও মার্কাস স্টোইনিস। স্মিথ আসছেন না তার কনুইয়ের চোটের কারণে। আগে থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ড্যানিয়েল স্যামস। আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা মালদ্বীপ হয়ে দেশে ফিরেছিলেন।



    অ্যান্ড্রু টাই, রিচার্ডসন ও অ্যাডাম জ্যাম্পা অবশ্য আইপিএল স্থগিত হওয়ার আগেই অস্ট্রেলিয়া ফিরেছিলেন ভারত থেকে প্রবেশে তাদের সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগেই। আইপিএলে খেলেছেন, কিন্তু এ দুই সফরে নিজেদের রেখেছেন জ্যাম্পা ও টাইসহ জেসন বেহেনডরফ, মইসেস হেনরিকস, রাইলি মেরেডিথরা। 

    অবশ্য ওয়ার্নারদের সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে এ দুই সফর দিয়েই সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজের দলে ছিলেন বলে তারা খেলেননি নিউজিল্যান্ড সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। 

    প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন পেসার ওয়েস অ্যাগার, ১৮ জনের স্কোয়াডে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা একমাত্র ক্রিকেটার তিনিই। স্কোয়াডের রিজার্ভ হিসেবে আসছেন পেসার ন্যাথান এলিস ও লেগস্পিনার তানভির স্যাঙ্ঘা। 

    এছাড়া পরবর্তীতে প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পাওয়া ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, বেন ম্যাকডারমটরা চূড়ান্ত স্কোয়াডে আছেন। ২০১৭ সালে শেষ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছিলেন ক্রিশ্চিয়ান। প্রাথমিক স্কোয়াড থেকে সব মিলিয়ে বাদ পড়েছেন ডারসি শর্ট এবং পরবর্তীতে ডাক পাওয়া ক্যামেরন গ্রিন। 

    “স্বভাবতই আমরা হতাশ যে কিছু ক্রিকেটার নিজেদের অস্ট্রেলিয়া দল থেকে সরিয়ে নিয়েছে, তবে জাতীয় নির্বাচক প্যানেল সবসময়ই ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্ত সম্মান করে”, বলেছেন জাতীয় নির্বাচক ট্রেভর হনস। “স্টিভ স্মিথ কনুইয়ের চোটে যেতে পারছে না, এখন এ সময়ে সে (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের আগে সেরে উঠতে পারবে। সে এই সফর মিস করে হতাশ।” 

    “কোভিড-১৯ এর সময়ে আন্তর্জাতিক সফর নিশ্চিতভাবেই অ্যাথলেটদের জন্য চ্যালেঞ্জের। একইসঙ্গে এ বছরের শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এরপর অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা পাওয়ার দাবি জানানোরও একটা সুযোগ”, বলেছেন তিনি।  

    আগস্টের ২-১০ তারিখে মাঝে বাংলাদেশে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা আছে অস্ট্রেলিয়ার। এর আগে ২৮ জুন তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবে ৫টি টি-টোয়েন্টির সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে খেলতে। 

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড 
    অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), অ্যাশটন অ্যাগার, ওয়েস অ্যাগার, জেসন বেহেনডরফ, অ্যালেক্স ক্যারি, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, জশ হ্যাজলউড, মইসেস হেনরিকস, মিচেল মার্শ, রাইলি মেরেডিথ, বেন ম্যাকডারমট, জশ ফিলিপি, মিচেল স্টার্ক, মিচেল সুয়েপসন, অ্যাশটন টার্নার, অ্যান্ড্রিউ টাই, ম্যাথিউ ওয়েড, অ্যাডাম জ্যাম্পা