• আইপিএল
  • " />

     

    উইলিয়ামসন-অভিষেক ওপেনিং জুটির পর পুরানের পুনরুত্থানে গুজরাটের প্রথম হার

    উইলিয়ামসন-অভিষেক ওপেনিং জুটির পর পুরানের পুনরুত্থানে গুজরাটের প্রথম হার    

    গুজরাট-হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই (টস-হায়দ্রাবাদ/ফিল্ডিং)
    গুজরাট টাইটান্স- ১৬২/৭, ২০ ওভার (হার্দিক ৫০*, মনোহর ৩৫, ওয়েড ১৯, নাটারাজান ২/৩৪, ভুবনেশ্বর ২/৩৭, ইয়ানসেন ১/২৭)
    সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ- ১৬৮/২, ১৯.১ ওভার (উইলিয়ামসন ৫৭, অভিষেক ৪২, পুরান ৩৪*, হার্দিক ১/২৭, রশিদ ১/২৮)
    ফলাফল: হায়দ্রাবাদ ৮ উইকেটে জয়ী

     

    আসরে প্রথম হারের মুখ দেখল হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট। নিজে নতুন এই ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন প্রথম ফিফটির দেখা। তবে এই উইকেট সেই সংগ্রহ যথেষ্ট ছিল কি না তা নিয়ে সন্দেহ ছিলই। সেই সন্দেহ সত্যি করে হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, অভিষেক শর্মার সাথে দারুণ ওপেনিং জুটি বাঁধার পরে পেয়েছিলেন ফিফটিও। তবে শেষদিকে নিকোলাস পুরানের ৩৪* রানের ক্যামিওতেই পরে নিশ্চিত হয়েছে তাদের টানা দ্বিতীয় ৮ উইকেটের জয়।  

     

    অধিনায়ক হার্দিকের মনোহরী সঙ্গী মনোহর

    গুজরাটের ওপেনিং নিয়ে মাথাব্যথা এই ম্যাচেও কাটল না; ব্যাট হাতে আরও একবার ব্যর্থ ম্যথিউ ওয়েড। পাওয়ারপ্লেতে গুজরাট এদিন ৫১ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে ঠিকই। তবে ফর্মে থাকা শুবমন গিল মাত্র ৭ রানে ফেরার পর শেষ ওভারে ফিরেছিলেন সাই সুধারসানও। ধুঁকতে থাকা ওয়েড তখন টিকে থাকলেও উইকেটে আসা হার্দিকের প্রতি আক্রমণও তার জড়তা কাটাতে পারেনি। বরং হার্দিকের আক্রমণের প্রতি উত্তর তরুণ পেসার উমরান মালিক দিয়েছেন ওই ওভারেই বাড়তি পেসের জোরে ওয়েডকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে। মালিকের সাথে জুটি বেঁধে ওয়াশিংটন সুন্দরের দারুণ এক স্পেলে  মিলারও এসে সুবিধা করতে না পেরে ফিরে যান বলপ্রতি রান তুলতে না পেরে, মার্কো ইয়ানসেনের শিকার হয়ে। ইয়ানসেন হাত খোলার সুযোগ দেননি হার্দিককেও। অধিনায়ককে উইকেটের মূল্য বুঝে খেলার সুযোগ করে দেন এরপর উইকেটে আসা অভিনব মনোহর। মালিককে দুই চার মেরে আক্রমণ শুর করে ১৮তম ওভারে নাটারাজানকে মারেন এক চার ও ছয়। ভুবনেশ্বর কুমারের পরের ওভারে ফেরার আগে তিনি খেলেন ২১ বলে ৩৫ রানের মূল্যবান ইনিংস। শেষ ওভারে নাটারাজানও দুই উইকেট পেলে শেষ দুই ওভারে বিশেষ কিছু করতে পারেনি গুজরাট। হার্দিক যদিও অপরাজিত থেকে গুজরাট অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন; তবে সেটি পেতে খরচ করেছিলেন ৪২ বল।

    অভিষেক-উইলিয়ামসনের কার্যকর ওপেনিং জুটির পর পুরানের নিজের পুনরুদ্ধার

    আগের ম্যাচে অভিষেক পেয়েছিলেন আইপিলে নিজের প্রথম ফিফটি, হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। এদিনও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সাথে করেন দারুণ শুরু। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে লকি ফার্গুসনের ওপর দুজনে চড়াও হয়ে ১৭ রান নিয়ে দলীয় সংগ্রহ নিয়ে যান ৪২ রানে। রশিদ খানের আঘাতে নবম ওভারে ফেরার আগে অভিষেক খেলেন ৩২ বলে ৪২ রানের কার্যকর এক ইনিংস। রাহুল ত্রিপাঠিকে নিয়ে এরপর মাথায় যেন গাণিতিক সব হিসেব কষেই ধিরস্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন উইলিয়ামসন। ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই ছয় মারতে গিয়ে ইনজুরির কবলে পড়ে মাঠ ছাড়েন ত্রিপাঠি। তবে সেটা যেন শাপেবর হয়ে আসে তাদের জন্য। ততক্ষণ পর্যন্ত ১১ বলে ১৭ রান করা ত্রিপাঠির জায়গায় আসেন নিজেকে খুঁজে ফেরা নিকোলাস পুরান। কয়েক ওভার তিনিন নিজেও থিতু হওয়ার জন্য সময় নেন। ১৬তম ওভারে ফার্গুসনকে পেয়ে তাই আক্রমণে যান উইলিয়ামসন নিজেই; ছয় মেরে ৪২ বলে পূর্ণ করেন আসরে নিজের প্রথম ফিফটি। ওই ওভারে ১৩ রান আসার পরের ওভারের প্রথম বলেই হার্দিকের অফ কাটার মাঠছাড়া করতে গিয়ে শেষ হয় উইলিয়ামসনের ৪৬ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইলিয়ামসনের বিদায়ে ম্যাচের ভাগ্য আবার ঝুলে যায়। বল হাতে দুর্বিষহ এক দিন কাটানো ফার্গুসনকেই তাই পুরান বেছে নেন নিজের ফর্মহীনতা কাটিয়ে নিজের মূল্যের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে। এইডেন মার্করামকে সঙ্গী করে ১৮তম ওভারে তিনি বের করেন ১৫ রান। মোহাম্মদ শামির করার পরের ওভারে দুজন মিলে ১৩ রান নিলে ম্যাচ প্রায় তাদের হাতের মুঠোয় চলে আসে। শেষ ওভারে প্রথম বলই মাঠছাড়া করে পুরান অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩৪* রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে; এনে দেন দারুণ এক জয়।