• ছবি কথা কয়
  • " />

     

    উইজডেনের সেরা দশে বাংলাদেশের দুই ছবি

    উইজডেনের সেরা দশে বাংলাদেশের দুই ছবি    

    ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজেডেন অ্যালমানাকের ১৫৯তম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে গত ২০ এপ্রিল। বিশ্ববিখ্যাত এই ক্রিকেট সাময়িকী বেছে নিয়েছে ২০২১ সালে পুরো দুনিয়ার সব ধরণের ক্রিকেট মাঠের দশটি দারুণ ছবি। বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে জমা পড়েছিল মোট ৩০০ ছবি। সেখান থেকে বাছাইয়ের পর দশটি ছবির মধ্যে বিজয়ী হয়েছে তিনটি। বাকি সাতটি জায়গা পেয়েছে উইজডেনের শর্টলিস্টে। সেই সাতটিতে আছে বাংলাদেশের দুই ফটোগ্রাফারের তোলা দুটি ছবিও। 

    ১। ফ্লাইং বাটলার ওভার স্মিথস হার্ডল

    ফটোগ্রাফার: ডেভিড গ্রে, অ্যাসোসিয়েট প্রেস, অস্ট্রেলিয়া (ফ্রিল্যান্সার) 

    বিজয়ী হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফটোগ্রাফার ডেভিড গ্রে'র তোলা ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ছবিটি। গত ৩০ অক্টোবর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। ৭১* রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পথে জস বাটলার রান নিতে গেলে স্টিভেন স্মিথের ওপর দিয়ে লাফ দেন। সেই মুহূর্তটা অসাধারণ দক্ষতায় ফ্রেমবন্দী করেছেন ২৪ বছর রয়টার্সের হয়ে কাজ করেছেন গ্রে। বিচারকদের মতে এই ছবিটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উত্তেজনা আর গতিময়তা তুলে এনেছে। 

    ২। 'ক্যাচ ইট' নাকি 'ক্যাপ ইট'

    ফটোগ্রাফার: নাথান স্টার্ক, গেটি ইমেজেস, যুক্তরাজ্য (ফ্রিল্যান্সার) 

     

    'দ্যা হান্ড্রেড'-এর গত আসরে ট্রেন্ট রকেটস দলের ম্যাথিউ কার্টারের ক্যাচ বার্মিংহাম ফিনিক্সের ফিন অ্যালেনের হাত ফসকে ক্যাপে পড়েছে। রানার-আপ হয়েছে ছবিটি। 'ক্যাচ ইট' শোনার বদলে 'ক্যাপ ইট' শুনেছিলেন নাকি অ্যালেন? 

    ৩। 'চার ছক্কা হই হই, বল গড়াইয়া গেল কই'

    ফটোগ্রাফার: ক্রিস স্ট্রিকল্যান্ড, ফ্রিল্যান্সার, যুক্তরাজ্য

     

    গ্রাম হোক কিংবা মফস্বলের পাড়া-মহল্লার মাঠ ক্রিকেট খেলেছেন, অথচ ফিল্ডিং মিস করে অথবা দারুণ কোনো শটে বল হারায়নি এমনটা হতেই পারে না। এরপর সবাই মিলে সেই বল খুঁজে বের করা; হয় কোনো ঝোপঝাড় থেকে নয়তো ঘাসের ছোটখাট অরণ্য থেকে। ইংল্যান্ডের নর্দাম্বারল্যান্ড লিগে ওলার-বেরউইক ক্লাবের ম্যাচেও দেখা গেছে এমন দৃশ্য। ফিল্ডাররা দল বেধে ঘাসে হারিয়ে যাওয়া বল খুঁজছেন। সেই ছবিটা তুলে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ক্রিস।

    ৪। বুমরাহর স্ট্যাচু?

    ফটোগ্রাফার: গ্যারেথ কোপলি, গেটি ইমেজেস, যুক্তরাজ্য 

     

    আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে পড়ন্ত বিকেলে নেটে বল করেছিলেন জসপ্রিত বুমরাহ। একপাশে ডুবতে বসা রক্তিম সূর্যকে রেখে বোলিং স্ট্রাইডে থাকা বুমরাহর এই দারুণ ছবিটা জায়গা পেয়েছে উইজডেনের শর্টলিস্টে। দেখে বুমরাহর স্ট্যাচুও মনে হতে পারে অনেকের। 

    ৫। জো 'টেম্পার্ড' রুট

    ফটোগ্রাফার:গ্যারেথ কোপলি, গেটি ইমেজেস, যুক্তরাজ্য

     

    গ্যারেথ কোপলির শর্টলিস্টেড হওয়া দ্বিতীয় ছবি এটি। ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হয়ে হতাশা ঝাড়ছেন ইংল্যান্ডের তখনকার টেস্ট অধিনায়ক জো রুট। 

    ৬। 'ফ্লাইং কিউই'

    ফটোগ্রাফার: অ্যালেক্স ডেভিডসন, গেটি ইমেজেস, যুক্তরাজ্য 

     

    ছবিটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের। ইংল্যান্ডের অ্যাজেস বোলে ভারতের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় দুর্দান্ত গতিতে বল পিক আপের পর  ষ্ট্যাম্পের দিকে  উড়ন্ত অবস্থায় থ্রো করছেন কেইন উইলিয়ামসন। 

    ৭। কভারে 'কাউ কর্নার'

    ফটোগ্রাফার: ফয়সাল খান, ফ্রিল্যান্সার, আনাদলু এজেন্সি, ভারত 

     

    কাশ্মীরের গান্ডেরবাল ভিলায় একদল ছেলে ক্রিকেট খেলছে। সেই ছোট্ট মাঠের কভার রিজিওনে দাঁড়িয়ে আছে দুটো গরু। ভূস্বর্গের শীতল সেই দিনের ছবিটা জায়গা করে নিয়েছে শর্টলিস্টে। 

    ৮। হুইলচেয়ারে স্বপ্ন জয়

    ফটোগ্রাফার: সৈয়দ মাহবুবুল কাদের, ফ্রিল্যান্সার, বাংলাদেশ

     

    তাদের স্বপ্ল ছিল ক্রিকেট খেলা। সেটা পূরণ হয়েছে তো বটেই, তবে হুইলচেয়ারে বসে।  বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে মাঠে ব্যস্ত বাংলাদেশ হুইলচেয়ার ক্রিকেট দল। 

    ৯। হলুদ রাজ্যে অশ্বত্থের ছায়ায় ক্রিকেট

    ফটোগ্রাফার: আব্দুল মোমিন, ফ্রিল্যান্সার, বাংলাদেশ

     

    গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা। চারপাশে শুধুই সর্ষে ফুলের হলুদ আর হলুদ। সেই হলুদঘেরা মাঠের একপাশে বিশাল এক বট গাছের নিচে ব্যাট-বল নিয়ে ব্যস্ত চার কিশোর। ছবিটা ভালো মতো খেয়াল করুন, ফ্রন্টফুটে ডিফেন্স করেছে ব্যাটসম্যান। হেড আর এলবো পজিশন ঠিক আছে তো? 

    ১০। এলিসের দাড়ি বিভ্রাট

    ফটোগ্রাফার: স্টু ফ্রস্টার,  গেটি ইমেজেস, যুক্তরাজ্য

     

    লিডসে নারীদের 'দ্যা হান্ড্রেড' টুর্নামেন্টে নর্দান ন্সুপারচার্জার্সের বিপক্ষে বল করছিলেন ওভাল ইনভিন্সিবলসের এলিস ক্যাপসি। ডেলিভারির পর তার বাঁধা চুলগুলো এমনভাবে সামনে চলে এসেছিল, প্রথম দেখায় যে কেউই অবাক হবে। আপনিও হয়েছেন নিশ্চয়ই? কারণটা না লিখলেও হচ্ছে, আশা করি!