উমরান-ভুবনেশ্বরের তোপের পর মার্করাম-পুরানের দায়িত্বশীল জুটিতে হায়দ্রাবাদের চারে চার
আইপিএল ২০২২
হায়দ্রাবাদ-পাঞ্জাব (টস-হায়দ্রাবাদ/বোলিং)
পাঞ্জাব কিংস- ১৫১, ২০ ওভার (লিভিংস্টোন ৬০, শাহরুখ ২৬, উমরান ৪/২৮, ভুবনেশ্বর ৩/২২)
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ- ১৫২/৩, ১৮.৫ ওভার (মার্করাম ৪১*, পুরান ৩৫*, রাহুল ৩৪, রাহুল চাহার ২/২৮)
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ সাত উইকেটে জয়ী
জয়ের রথ ছুটছেই সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এবারের আইপিএল শুরু করলেও, পরের চার ম্যাচে টানা চার জয়ে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। আজ উমরান মালিক আর ভুবনেশ্বর কুমারের দারুণ দুই স্পেলেরর পর এইডেন মার্করাম ও নিকোলাস পুরানের দায়িত্বশীল এক জুটিতে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে উঠে এসেছে দলটি।
মার্করাম-পুরানের মহামূল্যবান এক জুটি; চার নম্বর জয়
লক্ষ্য ছিল ১৫২ রানের। সেই রান তাড়ায় ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই রাবাদার বলে আউট উইলিয়ামসন। দমে না গিয়ে তিনে নামা আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক রাহুল ত্রিপাঠি শুরু করলেন পাল্টা আক্রমণ। সঙ্গী ছিলেন অভিষেক শর্মা। দুজন মিলে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। তবে দলীয় ৬২ রানে রাহুল চাহারকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন রাহুল ত্রিপাঠি। অভিষেকও ফিরেছেন চাহারের বলেই।
এরপরের গল্পটা লিখেছেন মার্করাম আর পুরান মিলে। দুজনের ব্যাট থেকে ৭৫* রানের মহামূল্যবান এক জুটি। আর্শদীপ-রাবাদাদের খেলেছেন চরম স্বস্তি নিয়ে। স্ট্রাইক রোটেশনেই মনযোগ ছিল দুজনের। মার্করামের ব্যাট থেকে চারটি চার ও ম্যাচ জেতানো ছক্কাটি এলেও, পুরান আজ খোলস ছেড়ে বের হননি। ৩০ বলে ৩৫* রানের ইনিংসে আছে একটি করে ছক্কা ও চার। দুজনের দারুণ এই জুটিতেই সাত বল হাতে রেখে সাত উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে হায়দ্রাবাদ।
হিসেবী ‘ভুবির’ পর উমরান মালিকের ‘এক্সপ্রেস’ গতিতে লণ্ডভণ্ড পাঞ্জাব
টস জিতে উইলিয়ামসনের ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্তটা কাজে আসে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই।এই ম্যাচের অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান লফটেড শট খেলতে গিয়ে মিড অনে মার্কো ইয়ানসেনের হাতে ক্যাচ দেন। ধাওয়ানের পর ভুবনেশ্বর ফিরিয়েছেন পাঞ্জাবের হয়ে লড়তে থাকা হাফ সেঞ্চুররিয়ান লিয়াম লিভিংস্টোন ও শাহরুখ খানকেও। রানও খরচ করেছেন মাত্র ২২।
ভুবনেশ্বরের হিসেবী বোলিংয়ের পর শেষটায় রীতিমতো বল হাতে তোপ দাগিয়েছেন উমরান মালিক। গতির জন্য সুপরিচিত হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলা জম্মু-কাশ্মীরের এই তরুণ। প্রথমে ফিরিয়েছিলেন জিতেশ শর্মাকে। গতি আর লাইন লেংথের কারিশমায় এরপর ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইনিংস ও নিজের শেষ ওভারে। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে দুই উইকেট নিয়ে জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। শেষ বলে আর্শদীপ রান আউট হওয়ায় হ্যাটট্রিকটা হয়নি। যদিও সেই ওভারে কোনো রান খরচা করেননি উমরান।
লিভিংস্টোনের ফিফটি সত্ত্বেও লড়াইয়ের অপ্রতুল রসদ
ধাওয়ান-বেইরস্টো দুজনই আজ ব্যর্থ। পাঞ্জাবের হাল ধরেছিলেন লিভিংস্টোন। ৩৩ বলে খেলেছেন ৬০ রানের ইনিংস। এই ইনিংসে ভর করেই দেড়শো পেরোয় পাঞ্জাব। ভুবনেশ্বরের বলে আউট হওয়ার আগে পাঁচ চারের সাথে মেরেছেন চারটি ছক্কা। লিভিংস্টোনকে যা একটু সঙ্গ দিয়েছেন, সে শাহরুখ খানই।