ব্যাটে-বলে পাঞ্জাবকে হেনস্থা করে মোস্তাফিজদের জয়
দিল্লি-পাঞ্জাব, ব্রাবোর্ন (টস-দিল্লি/ফিল্ডিং)
পাঞ্জাব কিংস- ১১৫, ২০ ওভার (জিতেশ ৩২, মায়াঙ্ক ২৪, চাহার ১২, অক্ষর ২/১০, খলিল ২/২১, কুলদিপ ২/২৪)
দিল্লি ক্যাপিটালস- ১১৯/১, ১০.৩ ওভার (ওয়ার্নার ৬০*, শ ৪১, চাহার ১/২১)
ফলাফল: দিল্লি ৯ উইকেটে জয়ী
পাঞ্জাবকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেই জিতল দিল্লি। পাঞ্জাবের তেড়েফুঁড়ে আক্রমণকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে দিল্লির বোলাররা তুলে নিয়েছে নিয়মিত উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান-খলিল আহমেদরা শুরুতেই উইকেট এনে দেওয়ার পরে মাঝে পাঞ্জাবের ওপর ঘূর্ণিজাল বুনে ছড়ি ঘুরিয়েছেন অক্ষর পাটেল-কুলদিপ যাদবদের স্পিন জুটি। পাঞ্জাবের মামুলি পুঁজি পরে ডেভিড ওয়ার্নার-পৃথ্বী শ’র তান্ডবে অনায়াসে টপকে গিয়ে রান রেটে বিশাল এক লাফও দিয়েছে দিল্লি। কোভিড শঙ্কা যেন মাঠের খেলা দিয়েও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন দিল্লির খেলোয়াড়ের।
দিল্লির উইকেটের আনন্দ মিছিলে পাঞ্জাবের গ্লানি
শিখর ধাওয়ানের জন্যই মুলত তৃতীয় ওভারেই ললিত যাদবকে আক্রমণে এনেছিলেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষাভ পান্ট। আর সেটার ফল তিনি পেলেন সাথে সাথেই। পান্টকে ক্যাচ তুলে দিয়ে ধাওয়ান ফেরার পরের ওভারে আক্রমণে এসেই মোস্তাফিজুর রহমান ফেরান পাঞ্জাব অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে। প্রথম ওভারেই উইকেট নেওয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এরপরের ওভারে আক্রমণে এসেই অক্ষর পাটেল পেয়ে যান দারুণ এক মৌসুম কাটাতে থাকা লিয়াম লিভিংস্টোনের উইকেট। পরের ওভারে খলিলের লেংথ বলে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জনি বেইরস্টো। জিতেশ শর্মা-শাহরুখ খান জুটি এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে অক্ষরের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে শেষ হয় জিতেশের ২৩ বলে ৩২ রানের প্রতি আক্রমণ। পাঁচ বোলার নিয়ে খেলতে নামা পাঞ্জাবের ইনিংস যে খুব একটা বড় হতে যাচ্ছে না তাও যেন নিশ্চিত হয়ে যায় সেখানেই। কুলদিপ এরপর এক ওভারেই কাগিসো রাবাদা ও ন্যাথান এলিসকে ফেরালে দিল্লির অট্টহাসির বিপরীতে পাঞ্জাবকে লাগছিল বড়ই অসহায়। শাহরুখ খানকে এরপর খলিল ফিরিয়ে শেষ আশার প্রদীপও নিভিয়ে দেন। রাহুল চাহার-আরশদিপ সিং জুটি এরপর কেবল ইনিংস বিলম্বিত করতে পেরেছেন। মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারের শেষ বলে আরশদিপ রান আউট হলে পাঞ্জাব গুটিয়ে যায় এই মৌসুমের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ নিয়ে।
পাওয়ারপ্লে ঝড়েই ম্যাচের ভাগ্য লেখা
অথচ দিল্লি যখন ব্যাটিংয়ে নামল তখন মনে হল এতক্ষণ বোধহয় ভিন্ন কোনও উইকেটে কেলা হচ্ছিল। শ-ওয়ার্নার জুটি বরাবরি আক্রমণাত্মক। তবে দুজনের ভাবধারায় যেন মনে হচ্ছিল দ্রুত হোটেলে যেয়ে একটু আয়েশ করবেন। সামনে যাকেই পেয়েছেন বেধড়ক পিটিয়েছেন দুজনে। পাওয়ারপ্লেতেই দুজনে মিলে তুলে ফেলেন ৮১ রান! এই মৌসুমে এটা পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চই, দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজি দুটোর ইতিহাসেও এটি পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ। আক্রমণের ধারা বজায় রাখতে গিয়ে চাহারের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে একটু পরেই থেমেছিলেন শ, ২০ বলে ৪১ রান করে। তবে থামেনই ওয়ার্নার; ২৬ বলে পূর্ণ করেন তার টানা ৩য় ফিফটি। ৩০ বলে ৬০* রানে অপরাজিত থেকে প্রায় ৯ ওভার হাতে রেখেই দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে।